মাটির পরিবর্তে সমুদ্রে কেন অবতরণ করছে সুনীতা উইলিয়ামসের মহাকাশযান? বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে জানুন

নাসার মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস পৃথিবীতে ফেরার যাত্রায় রওনা হয়েছেন। এই বিশেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি হৃদয়স্পর্শী চিঠি লিখেছেন, যেখানে তিনি সুনীতাকে ভারতের গর্বের কন্যা বলে সম্বোধন করেছেন এবং তার সঙ্গে গভীর সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি সুনীতা উইলিয়ামসের উদ্দেশে লিখেছেন, “যদিও আপনি আমাদের থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে রয়েছেন, তবু আপনি আমাদের হৃদয়ের খুব কাছাকাছি আছেন।”
প্রকৃতপক্ষে, সুনীতা উইলিয়ামস ও বাচ উইলমোর দীর্ঘ নয় মাসের মহাকাশ সফরের পর পৃথিবীতে ফিরে আসছেন। তবে প্রশ্ন উঠছে, তাদের মহাকাশযান কেন জমির পরিবর্তে সমুদ্রে অবতরণ করছে?
কেন সমুদ্রে অবতরণ করা হচ্ছে?
আসলে, মহাকাশ থেকে ফিরে আসা মহাকাশযানের অবতরণের পদ্ধতি বিভিন্ন রকমের হয়। যেমন, মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার শাটল প্রোগ্রামের মহাকাশযানগুলো বিমান চালনার মতোই রানওয়েতে অবতরণ করত। তবে এই পদ্ধতিতে একটি সমস্যা ছিল—শাটলের টাইলসগুলো অবতরণের সময় জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতো।
পরে, নাসা তাদের কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রাম চালু করে। অন্যদিকে, রাশিয়া তাদের মহাকাশযান ভূমিতে অবতরণ করায়। তবে সমুদ্রে অবতরণের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা রয়েছে। এটি মহাকাশযানকে পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী রাখে এবং মহাকাশচারীদের জন্যও তুলনামূলকভাবে আরামদায়ক হয়।
বুধবার সকালে ফ্লোরিডায় অবতরণ
নাসার তথ্য অনুযায়ী, সুনীতা উইলিয়ামস ও বাচ উইলমোর ভারতীয় সময় সকাল ১০:৩৫ মিনিটে পৃথিবীতে ফেরার জন্য রওনা হয়েছেন।
উল্লেখ্য, তারা জুন ২০২৪-এ বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযান ব্যবহার করে এক সপ্তাহের কিছু বেশি সময়ের জন্য মহাকাশে গিয়েছিলেন। কিন্তু বোয়িং স্টারলাইনারে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেওয়ায় নাসা তাদের ফেরানোর সময় পিছিয়ে দেয়।
অবশেষে, এখন যখন তারা ফিরে আসছেন, আশা করা হচ্ছে যে বুধবার ভোর ৩:২৭ মিনিটের মধ্যে ফ্লোরিডার উপকূলে নিরাপদে অবতরণ করবেন।