মুসলিম সমাজে কী আছে মহিলাদের খতনা প্রথা..? নিষ্ঠুরভাবে কেটে ফেলা হয় মহিলাদের শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ….!

মুসলিম সমাজে কী আছে মহিলাদের খতনা প্রথা..? নিষ্ঠুরভাবে কেটে ফেলা হয় মহিলাদের শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ….!

মহিলাদের অধিকার ও স্বাধীনতা নিয়ে সময়-সময়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়। বিশেষত মুসলিম মহিলাদের অবস্থা নিয়ে পৃথিবীজুড়ে নানা চিন্তাধারা উঠে আসে। অনেকেই একে কুপ্রথার জালে আবদ্ধ বলে মনে করেন, আবার কেউ কেউ একে তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের অংশ হিসেবে দেখেন।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মহিলাদের খতনা (Female Genital Mutilation, FGM) নিয়ে আবারো আলোচনা তীব্র হয়েছে।

পোপ ফ্রান্সিসের বিবৃতি এবং খতনার সত্যতা খ্রিস্টান ধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস সম্প্রতি মহিলাদের খতনাকে “অপরাধ” বলে উল্লেখ করেছেন এবং এটিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, মহিলাদের অধিকার, সমতা এবং সুযোগের জন্য এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তার এই মন্তব্য বিশ্বব্যাপী মহিলাদের খতনার যন্ত্রণাদায়ক প্রক্রিয়া এবং এটি বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তার উপর বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

মহিলাদের খতনা কী? মহিলাদের খতনা একটি রক্ষণশীল প্রথা, যেখানে মহিলাদের বাহ্যিক জননাঙ্গ কাটা হয়। এটি কেবল শারীরিকভাবে যন্ত্রণাদায়ক একটি প্রক্রিয়া নয়, এর মানসিক এবং সামাজিক প্রভাবও গুরুতর। কিছু রক্ষণশীল সম্প্রদায় এটিকে মহিলাদের “পবিত্র” এবং “বিবাহযোগ্য” করার প্রক্রিয়া হিসেবে মনে করেন, কিন্তু আসলে এটি মহিলাদের স্বাধীনতা এবং তাদের অধিকারগুলির সরাসরি লঙ্ঘন।

বিশ্বব্যাপী খতনার পরিস্থিতি

ভারত: ভারতে প্রধানত বোহরা সম্প্রদায় মহিলাদের খতনা প্রথা পালন করে। মিশর: ২০০৮ সালে এই প্রথার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, তবে এর পরেও অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথা অব্যাহত রয়েছে। অন্যান্য দেশ: আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে এখনও এই প্রথা চালু রয়েছে, পাশাপাশি অনেক পশ্চিমী দেশে অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে এটি বিদ্যমান। জাতিসংঘ এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর বিষয় হিসেবে বিবেচনা করেছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এটি পুরোপুরি বন্ধ করার লক্ষ্য নিয়েছে। প্রতি বছর ৬ ফেব্রুয়ারি “ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ জিরো টলারেন্স ফর এফজিএম” হিসেবে পালিত হয়, যাতে এই প্রথার বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায়।

তিন তালাক এবং মহিলাদের স্বাধীনতার বিতর্ক ভারতে তিন তালাক বিলুপ্ত হওয়ার পর মুসলিম মহিলারা একটি বড় রেহাই পেয়েছেন। এখন যদি কোনও মহিলাকে তিন তালাক দেওয়া হয়, তবে তিনি আদালতে গিয়ে ন্যায় দাবি করতে পারেন। তবে, এই প্রশ্ন ওঠে যে, ইসলাম কি সত্যিই মহিলাদের সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা দেয়, যেমন কিছু ধর্মীয় নেতা দাবি করেন। যদি তা হয়ে থাকে, তবে এই ধরনের প্রথা এবং সমস্যাগুলি মূলত মুছে ফেলা উচিত ছিল।

সমাজ কী বলে? খতনা जैसी প্রথাগুলি মহিলাদের শরীর এবং আত্মায় গভীর ক্ষত তৈরি করে। এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক বিষয় নয়, বরং এটি একটি মানবাধিকার বিষয়। সমাজকে এটি নিয়ে ভাবতে হবে যে, এই ধরনের কুপ্রথাগুলি শুধুমাত্র মহিলাদের দুর্বল করে না, বরং পুরো মানবতার উপর কালিমা লাগিয়ে দেয়।

আপনার মতামত কী? খতনা जैसी প্রথাগুলির প্রতি আপনার কী মতামত? কি আমাদের এই প্রথাগুলি শেষ করার জন্য আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে? মহিলাদের অধিকার সম্পর্কে আপনার মতামত আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

4o mini

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *