বেরিলি জেলার মীরগঞ্জ থানা এলাকায় জাতীয় মহাসড়কে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে এবং তার ছোট ভাই গুরুতর আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার পুলিশ এই তথ্য দিয়েছে। তিনি জানান, নিহত যুবকের নাম সঞ্জয় (২৮), বাহরাইচ জেলার কেশরগঞ্জ থানা এলাকার রামুয়াপুর রঘুবীর গ্রামের বাসিন্দা এবং আহত যুবকের নাম তার ভাই রিঙ্কু (২২)। পুলিশের মতে, পাঞ্জাবে কর্মরত সঞ্জয় তার স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে তার ছোট ভাই রিঙ্কুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে দ্রুত বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন, কিন্তু পথেই এক সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার উত্তর অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মুকেশ চন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন যে সঞ্জয় এবং রিঙ্কু পাঞ্জাবে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

তিনি জানান, বেরেলি জেলার মীরগঞ্জ থানা এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় সঞ্জয়ের মৃত্যু হয়েছে। সঞ্জয়ের পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ছয় বছর আগে পূজার সাথে সঞ্জয়ের বিয়ে হয়েছিল এবং তার চার বছরের একটি মেয়েও আছে। মিশ্রের মতে, সঞ্জয়ের পরিবার খুশি ছিল কারণ সোমবার পূজার দ্বিতীয় সন্তান প্রসব হওয়ার কথা ছিল। পরিবার পূজাকে বাহরাইচের একটি হাসপাতালে ভর্তি করে, কিন্তু প্রসবের সময় তার মৃত্যু হয়।

পরিবার তৎক্ষণাৎ সঞ্জয়কে এই দুঃখের খবরটি জানায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের মতে, স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে সঞ্জয় অস্থির হয়ে পড়েন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি পৌঁছানোর জন্য, তিনি তার ছোট ভাই রিঙ্কুর সাথে মোটরসাইকেলে পাঞ্জাব থেকে বাহরাইচের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এরপর সোমবার রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, আহত উভয়কেই দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকরা সঞ্জয়কে মৃত ঘোষণা করেন।

রিঙ্কুর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক এবং সে বেরিলির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের পর সঞ্জয়ের দেহ বাহরাইচে পাঠানো হয়েছে। পরিবার জানিয়েছে যে সঞ্জয় এবং তার স্ত্রীর শেষকৃত্য একসাথে করা হবে। এএসপি জানান, মীরগঞ্জ পুলিশ অজ্ঞাত গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এবং এটির খোঁজ শুরু করেছে। বাইকটিকে ধাক্কা দেওয়া গাড়িটি শনাক্ত করতে পুলিশ কাছের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ স্ক্যান করছে।