ট্রাফিক আইনে কড়াকড়ি: জরিমানা ১০ গুণ বৃদ্ধি, সতর্ক না হলে জেল-জরিমানা দুটোই!

সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও ট্রাফিক নিয়ম কঠোরভাবে মানার উদ্দেশ্যে সরকার নতুন করে ট্রাফিক আইন আরও কড়া করেছে। গত ১ মার্চ থেকে সারাদেশে কার্যকর হয়েছে এই নতুন নিয়ম। এবার থেকে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে জরিমানার পরিমাণ আগের তুলনায় ১০ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে, এমনকি জেলও হতে পারে। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের এই সিদ্ধান্তে ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের জন্য বিপদ বাড়তে চলেছে।
নতুন ট্রাফিক আইনের মূল বৈশিষ্ট্য:
- মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো: প্রথমবার অপরাধ করলে ১০,০০০ টাকা জরিমানা ও ৬ মাসের জেল। একই অপরাধ পুনরাবৃত্তি করলে ১৫,০০০ টাকা জরিমানা ও ২ বছরের কারাদণ্ড।
- হেলমেট ছাড়া বাইক চালানো: ১,০০০ টাকা জরিমানা এবং ৩ মাসের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল।
- সিট বেল্ট না পরা: ১,০০০ টাকা জরিমানা।
- গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার: ৫,০০০ টাকা জরিমানা (পূর্বে ছিল ৫০০ টাকা)।
- লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো: ৫,০০০ টাকা জরিমানা।
- বিমা ছাড়া গাড়ি চালানো: ২,০০০ টাকা জরিমানা।
- দূষণ শংসাপত্র না থাকা: ১০,০০০ টাকা জরিমানা ও ৬ মাসের জেল।
- বিপদজনকভাবে গাড়ি চালানো বা অতিরিক্ত গতি: ৫,০০০ টাকা জরিমানা।
- বাইকে ৩ জন সওয়ারি নিয়ে যাত্রা: ১,০০০ টাকা জরিমানা।
- জরুরি যানবাহনকে রাস্তা না দেওয়া: ১০,০০০ টাকা জরিমানা।
- সিগন্যাল জাম্পিং: ৫,০০০ টাকা জরিমানা।
- ওভারলোডিং: ২০,০০০ টাকা জরিমানা।
নাবালকদের জন্য কঠোর নিয়ম:
নতুন আইন অনুযায়ী, কোনো নাবালক গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটালে তার অভিভাবককে ২৫,০০০ টাকা জরিমানা ও ৩ বছরের জেল হতে পারে। এছাড়া, অভিভাবকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হতে পারে এবং নাবালকটি ২৫ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবে না।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপ সবার জন্য সতর্কবার্তা। সতর্ক না হলে জেল-জরিমানা দুটোই হতে পারে!