সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্টের জন্য আপনাকে জেলে যেতে হতে পারে, গ্রুপ অ্যাডমিনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে

যদি আপনিও চিন্তা না করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও পোস্ট শেয়ার করেন, তাহলে এক মুহূর্ত থামুন! একটি উস্কানিমূলক বা মিথ্যা পোস্ট আপনাকে সরাসরি জেলে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, যদি এই পোস্টটি কোনও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে শেয়ার করা হয়, তাহলে গ্রুপ অ্যাডমিনকেও আইনি ব্যবস্থা নিতে হতে পারে।
আসলে, ছত্রপতি সম্ভাজিনগরে আওরঙ্গজেবের সমাধি নিয়ে বিতর্কের পর, পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি বাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি যদি আওরঙ্গজেব সম্পর্কিত কোনও আপত্তিকর পোস্ট করেন, তাহলে এই ধরনের পোস্ট আপনাকে জেলেও যেতে পারে। এখন পর্যন্ত ৮টি ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং ৫০৬টি আপত্তিকর পোস্ট অপসারণ করা হয়েছে।
পুলিশ এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে নজর রাখে
আজকাল পুলিশ হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স, ইউটিউব সহ সমস্ত প্রধান সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সাইবার টহল দিচ্ছে। উস্কানিমূলক বা গুজব ছড়ানো পোস্টের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, যদি কোনও গ্রুপে কোনও ভুল পোস্ট করা হয় এবং অ্যাডমিন তাতে মনোযোগ না দেয় তবে তাকেও দোষী সাব্যস্ত করা যেতে পারে। পুলিশ স্পষ্টভাবে বলেছে যে গ্রুপে মিথ্যা তথ্য বা উস্কানিমূলক কন্টেন্ট বন্ধ করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া গ্রুপ অ্যাডমিনের দায়িত্ব।
এই ধরণের পোস্ট সমস্যা তৈরি করতে পারে
প্রথমত, আপনি যদি ধর্মীয় বা বর্ণগতভাবে উস্কানিমূলক কিছু পোস্ট করেন, তাহলে এই ধরনের পোস্ট আপনাকে বড় সমস্যায় ফেলতে পারে। ভুয়া খবর বা গুজব ছড়ায় এমন বিষয়বস্তু পোস্ট করার জন্য আপনারও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এছাড়াও, দেশের ঐক্য এবং আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকিস্বরূপ এমন কোনও বিষয়বস্তু পোস্ট করা থেকে বিরত থাকুন। এছাড়াও, আপত্তিকর ছবি, ভিডিও বা মিম শেয়ার করবেন না।
এই আইনের অধীনে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে
যদি কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর বিষয়বস্তু পোস্ট করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইটি আইন ২০০০ এবং আইপিসির ধারায় মামলা দায়ের করা যেতে পারে। জেল এবং জরিমানারও বিধান রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, যেকোনো পোস্ট শেয়ার করার আগে অবশ্যই তার সত্যতা জেনে নিন। গ্রুপ অ্যাডমিনের উচিত তাদের গ্রুপে প্রেরিত বার্তাগুলির উপর কড়া নজর রাখা এবং যদি কেউ ভুল তথ্য ছড়ায় তবে অবিলম্বে পুলিশকে তা জানাতে হবে।