আবুধাবি: সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে গাজার বেসামরিক ও আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত থাকলে এই অঞ্চলে ব্যাপক অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে এবং সমগ্র অঞ্চলে সহিংসতা বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

সরকারি এমিরেটস নিউজ এজেন্সি (ডব্লিউএএম) এর বরাত দিয়ে সিনহুয়া বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, মন্ত্রণালয় গাজায় আরও নিরীহ প্রাণহানি রোধ, মানবিক পরিস্থিতির অবনতি রোধ, বেসামরিক নাগরিকদের উপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বন্ধ এবং উত্তেজনা বৃদ্ধি রোধের আহ্বান জানিয়েছে।

WAM জানিয়েছে যে মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে যুদ্ধবিরতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধার, ক্রসিং পুনরায় চালু এবং গাজার অভাবীদের কাছে মানবিক সহায়তার অবিচ্ছিন্ন এবং নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় শান্তিপূর্ণ সমাধান অর্জন এবং বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই বিবৃতি এমন এক সময়ে এসেছে যখন মঙ্গলবার সকালে ইসরায়েল গাজায় বিশাল বিমান হামলা চালিয়ে ৪০০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা করেছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু পরে বলেন যে, গাজা উপত্যকার উপর ইসরায়েল তার আগ্রাসন আরও বাড়াবে এবং এখন থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা কেবল আক্রমণের মাঝেই হবে।

এর আগে, জাতিসংঘের মানবিক প্রধান গাজায় নতুন করে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান এবং ইসরায়েলের প্রতি এই অঞ্চলে জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ ও বাণিজ্যিক পণ্যের উপর অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান।

“রাতারাতি, আমাদের সবচেয়ে খারাপ আশঙ্কা সত্য হয়ে উঠল,” ব্রাসেলস থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল টম ফ্লেচার নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন। গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা আবার শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নতুন করে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে এবং আবারও গাজার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে।