ইউক্রেন যুদ্ধে আংশিক যুদ্ধবিরতি নিয়ে সোমবার সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শুরু হয়েছে। ইউক্রেনীয় এবং মার্কিন প্রতিনিধিদের মধ্যে পৃথক দফা আলোচনার কয়েক ঘন্টা পরে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

উভয় পক্ষই সংঘাত কমাতে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনাগুলি অনুসন্ধান করছে। তবে, অনেক বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ রয়ে গেছে। ইউক্রেন জ্বালানি সুবিধা, বেসামরিক নাগরিকদের উপর আক্রমণ প্রতিরোধ এবং কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপর জোর দিচ্ছে। এদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনে ড্রোন হামলা অব্যাহত রাখায় যুদ্ধবিরতির দিকনির্দেশনা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সৌদি আরবে চলমান এই আলোচনার মধ্যে, যুদ্ধবিরতির জন্য আশা এবং চ্যালেঞ্জ উভয়ই রয়েছে।

রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা TASS এবং RIA-Novosti অনুসারে, বৈঠকটি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে শুরু হয়েছে এবং এই আলোচনার পরে ইউক্রেনীয় এবং আমেরিকান দলের মধ্যে আরেকটি যোগাযোগের আশা করা হচ্ছে। তবে, কয়েকদিন আগে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে আংশিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর, যুদ্ধবিরতির লক্ষ্য নিয়ে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন মতামত দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে আলোচনার ফলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠেছে, যেখানে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি রেলওয়ে এবং বন্দরগুলিতেও সুরক্ষা প্রদানের কথা বলেছেন, যেখানে রাশিয়া এটিকে কেবল শক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার ড্রোন হামলা

সৌদি আরবে যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই শনিবার রাতে রাশিয়া ইউক্রেনে ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যার ফলে সাতজন নিহত এবং বেশ কয়েকটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন যে রাশিয়ান ড্রোন হামলা অব্যাহত রয়েছে, অন্যদিকে জেলেনস্কি রাশিয়ার উপর চাপ বাড়ানোর কথা বলেছেন।

আমেরিকা ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনা থেকে যা বেরিয়ে এলো

এর আগে, আমেরিকান এবং ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের মধ্যেও আলোচনা হয়েছিল, যা এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি প্রযুক্তিগত স্তরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়ায় একটি গুরুতর মোড় এসেছে, যা যুদ্ধের অবসানের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে, যদিও এই প্রক্রিয়ায় এখনও কিছু অচলাবস্থা রয়েছে।

ইউক্রেনীয় রেলওয়েতে সাইবার আক্রমণ

ইতিমধ্যে, ইউক্রেনীয় রেলওয়ে একটি সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে যার ফলে অনলাইন পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে, যদিও ট্রেন পরিচালনায় কোনও প্রভাব পড়েনি। সামগ্রিকভাবে, সৌদি আরবে যুদ্ধবিরতি আলোচনা একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়েছে এবং এর ফলে সংঘাত বন্ধের জন্য আরও স্পষ্ট পথ তৈরি হতে পারে।