হিমাচল প্রদেশের রাজধানী শিমলার একটি বেসরকারি স্কুলের শিশুদের জন্য জারি করা একটি আদেশ শহরে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। একটি বেসরকারি স্কুল ঈদের জন্য শিশুদের কুর্তা-পায়জামা এবং টুপি পরে স্কুলে আসতে বলেছে। তবে, স্কুলটি পরে আরেকটি আদেশ জারি করে এবং প্রোগ্রামটি বাতিল করে। আসলে, স্কুল প্রশাসন ঈদ উপলক্ষে টিফিনে ‘সূঁচ’ আনতেও বলেছিল। ঈদ ৩১ মার্চ উদযাপিত হবে। এর আগে, ২৮ মার্চ স্কুলের শিশুদের জন্য এই ধরনের আদেশ জারি করা হয়েছিল। এর পর, হিন্দু নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্কুলের বিরুদ্ধে একটি প্রচারণা শুরু করেন। দেবভূমি সংঘৃষ্ঠ সমিতি এর বিরোধিতা করে। দেবভূমি সংগ্রাম সমিতির আহ্বায়ক ভারত ভূষণ বলেন, এটি সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিরও পরিপন্থী। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি স্কুল আদেশ প্রত্যাহার না করে, তাহলে স্কুল ঘেরাও করা হবে এবং স্কুলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেবভূমি সংগ্রাম সমিতির আহ্বায়ক ভারত ভূষণ বলেন, এটি স্কুলের একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে হিমাচল প্রদেশে ইসলাম প্রচারের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি পরিস্থিতিটিকে দুঃখজনক বলে বর্ণনা করেছেন। ভারত ভূষণ আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি স্কুলটি তার অবস্থান থেকে সরে না আসে, তাহলে বড় আন্দোলন শুরু করা হবে। এই বিষয়ে স্কুলের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।