হিন্দু বিবাহ আইন জৈন-বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উপরও প্রযোজ্য, হাইকোর্ট বলল- পারিবারিক আদালতের আদেশ ভুল

হিন্দু বিবাহ আইন জৈন-বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উপরও প্রযোজ্য, হাইকোর্ট বলল- পারিবারিক আদালতের আদেশ ভুল

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। সোমবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাদের বিস্তারিত আদেশে স্পষ্ট করে বলেছে যে সংবিধান এবং আইনসভা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন এবং শিখ ধর্মকে একসাথে স্বীকৃতি দিয়েছে।

অতএব, হিন্দু বিবাহ আইন জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। পারিবারিক আদালত ধর্মীয় রীতিনীতির ব্যাখ্যা করার পরিবর্তে আইনি বিধান অনুসরণ করার কথা ছিল। এই মামলায় পারিবারিক আদালতের দেওয়া সিদ্ধান্ত অবৈধ।

ইন্দোর জেলার বাসিন্দা আবেদনকারী নীতিন শেঠির স্ত্রী পারিবারিক আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছিলেন। পারিবারিক আদালত বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন খারিজ করে বলেছে যে জৈন সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু ঘোষণা করা হয়েছে। জৈন ধর্ম হিন্দু ধর্ম থেকে আলাদা এবং হিন্দু বিবাহ আইন জৈন ধর্মের অনুসারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এই ভিত্তিতে, আদালত একদিনে এই ধরনের ২৮টি আবেদনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে।

হাইকোর্টের মন্তব্য

পারিবারিক আদালতের দেওয়া সিদ্ধান্তকে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়। এখানে, শুনানির পর, দুই বিচারপতির একটি বেঞ্চ স্পষ্ট করে বলেছে যে হিন্দু বিবাহ আইন কেবল হিন্দুদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং জৈন, বৌদ্ধ এবং শিখ সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। পারিবারিক আদালত ভুল কারণে রায় দিয়েছে।

হাইকোর্ট বলেছে, পারিবারিক আদালতের যদি কোনও সন্দেহ থাকে তবে তাদের উচিত ছিল বিষয়টি হাইকোর্টে পাঠানো। পারিবারিক আদালত দুটি ধর্মের মধ্যে পার্থক্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছিল এবং তাদের দেওয়া যুক্তিগুলি বৈধ ছিল না। আদালতের এই সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ধর্মীয় বিশ্বাসের ভুল ব্যাখ্যা করে আইন পরিবর্তন করা যাবে না। বিবাহ সম্পর্কিত সকল আইনি বিষয়ে স্পষ্টতা থাকবে এবং ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য বন্ধ করা যাবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *