আমেরিকা শুল্ক এবং খনিজ পদার্থের মধ্যে আটকে আছে, অন্যদিকে ইউরোপ তার মস্তিষ্ক দখল করার চেষ্টা করছে

আমেরিকা বর্তমানে এক অদ্ভুত সমস্যায় আটকে আছে। একদিকে, এটি বেশ কয়েকটি দেশের সাথে শুল্ক এবং খনিজ সম্পদের সাথে জড়িত, অন্যদিকে, ইউরোপ আমেরিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ, তার বৈজ্ঞানিক মনকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

আসলে, ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর থেকে আমেরিকান বিজ্ঞানীদের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। রা

রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং গবেষণা তহবিল হ্রাসের কারণে তারা অসন্তুষ্ট বোধ করছেন। ইতিমধ্যে, অনেক ইউরোপীয় দেশ আমেরিকান বিজ্ঞানীদের স্বাগত জানাতে তাদের দরজা খুলে দিচ্ছে। বেলজিয়ামের ভিজে ইউনিভার্সিটি ব্রাসেল (ভিইউবি) সম্প্রতি ১২টি নতুন পোস্টডক্টরাল পদ ঘোষণা করেছে, বিশেষ করে ট্রাম্পের নীতিতে বিরক্ত এবং নতুন সুযোগ খুঁজছেন এমন আমেরিকান গবেষকদের জন্য।

ইউরোপ মার্কিন বিজ্ঞানীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে

ভিইউবি রেক্টর জ্যান ডানকার্ট বলেছেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পদক্ষেপের লক্ষ্য আমেরিকান গবেষকদের একাডেমিক স্বাধীনতা এবং নিরাপদ গবেষণা পরিবেশ প্রদান করা। তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা তহবিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলিও এই দিকে এগিয়ে চলেছে। ফ্রান্সের পাস্তুর ইনস্টিটিউটের পরিচালক ইয়াসমিন বেলকাইদ বলেন, তিনি প্রতিদিন আমেরিকান এবং ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে অনুরোধ পান যারা আর তাদের নিজস্ব দেশে স্বাধীনভাবে গবেষণা পরিচালনা করতে সক্ষম বোধ করেন না।

ট্রাম্প প্রশাসনে বিজ্ঞানের উপর প্রভাব

জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে অনেক আমেরিকান বিজ্ঞানী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। নাসা, সিডিসি এবং এনওএএর মতো মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলি তহবিল হ্রাসের সম্মুখীন হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং কিছু টিকা সংক্রান্ত গবেষণার জন্য অর্থায়ন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের প্রকল্প পরিবর্তন বা বন্ধ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

ইউরোপের নতুন উদ্যোগ

এই সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে, অনেক ইউরোপীয় দেশ আমেরিকান গবেষকদের আকৃষ্ট করার জন্য নতুন পরিকল্পনা চালু করেছে। নেদারল্যান্ডস বিজ্ঞানীদের জন্য একটি বিশেষ তহবিল প্রকল্প ঘোষণা করেছে। ফ্রান্সের আইক্স-মার্সেই বিশ্ববিদ্যালয় “বিজ্ঞানের জন্য নিরাপদ স্থান” নামে একটি প্রোগ্রাম চালু করেছে, যা তিন বছরের জন্য ২৪ জন আমেরিকান বিজ্ঞানীকে অর্থায়ন করবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *