রক্ত বৃদ্ধির জন্য, বাবা রামদেবের পরামর্শ দেওয়া এই প্রতিকারটি ব্যবহার করে দেখুন, ৭ দিনের মধ্যে ফলাফল দেখতে পাবেন!

রক্ত বৃদ্ধির জন্য, বাবা রামদেবের পরামর্শ দেওয়া এই প্রতিকারটি ব্যবহার করে দেখুন, ৭ দিনের মধ্যে ফলাফল দেখতে পাবেন!

রক্তাল্পতা একটি সাধারণ সমস্যা এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি নারী ও শিশুদের বেশি সমস্যায় ফেলে। শরীরে হিমোগ্লোবিনের অভাবের কারণে ক্লান্তি, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা এবং ত্বকের বিবর্ণতার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যদি সময়মতো এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি অনেক গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। বাবা রামদেবের মতে, হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য আমাদের প্রাকৃতিক এবং আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত, যাতে শরীর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই সম্পূর্ণ পুষ্টি পায়।

বাবা রামদেব একটি ভিডিওতে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর একটি দুর্দান্ত প্রাকৃতিক প্রতিকারের কথাও বলেছেন, যা মাত্র ৭ দিন করলেই ফলাফল দেখাবে। আসুন জেনে নিই সেই রেসিপিটি কী এবং এর অন্যান্য উপকারিতা কী।

View this post on Instagram

A post shared by Swami Ramdev (@swaamiramdev)

বাবা রামদেবের রেসিপি

বাবা রামদেব এটিকে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির জন্য একটি চমৎকার রস হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এই জুস তৈরি করাও খুব সহজ। এর জন্য আপনার একটি ডালিম, বিটরুট, আদা এবং আমলকি লাগবে।

কিভাবে জুস তৈরি করবেন

প্রথমে ডালিমের বীজ বের করে গাজর, বিট এবং আমলকি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। আদা খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এবার এই সব জিনিস মিক্সারে ঢেলে দিন, কিছু জল যোগ করুন এবং ভালো করে ব্লেন্ড করুন। রস ভালোভাবে তৈরি হয়ে গেলে, এটি ছেঁকে গ্লাসে ঢেলে নিন। এতে অর্ধেক লেবু ছেঁকে নিন এবং সাথে সাথে পান করুন। আপনি যদি চান, আপনি এটি ছাঁকনি ছাড়াই পান করতে পারেন, যাতে শরীর এতে উপস্থিত ফাইবারও পেতে পারে।

কীভাবে পান করবেন এবং কখন পান করবেন?

বাবা রামদেব বলেছিলেন যে সকালে খালি পেটে এটি পান করলে আপনি অনেক তাড়াতাড়ি উপকার দেখতে পাবেন। কমপক্ষে ৭-১০ দিন নিয়মিত এটি পান করুন, তারপর আপনি নিজেই এর প্রভাব অনুভব করবেন। যদি আপনি হিমোগ্লোবিনের অভাব নিয়ে বেশি চিন্তিত হন, তাহলে আপনি এটি দিনে দুবার (সকাল এবং সন্ধ্যা) খেতে পারেন।

এই রসের উপকারিতা

১. দ্রুত হিমোগ্লোবিন বাড়ায়- ডালিম, বিট এবং গাজর আয়রনের চমৎকার উৎস, যা শরীরে রক্তের ঘাটতি পূরণ করতে এবং হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। আমলকী এবং লেবুতে উপস্থিত ভিটামিন সি আয়রনের শোষণকে ত্বরান্বিত করে, যার ফলে শরীরকে আরও পুষ্টি সরবরাহ করে।

২. শরীরে শক্তি ও শক্তি বৃদ্ধি করে – এই রস শরীরে লোহিত রক্তকণিকা (RBC) বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, যা অক্সিজেনের সঠিক প্রবাহ নিশ্চিত করে এবং ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং অলসতা দূর করে। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ডিটক্স করে এবং কোষগুলিকে সুস্থ রাখে।

৩. ত্বককে উজ্জ্বল ও সুস্থ করে তোলে- হিমোগ্লোবিনের নিম্ন মাত্রা ত্বককে ফ্যাকাশে ও প্রাণহীন করে তুলতে পারে। এই রসে উপস্থিত বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন সি এবং আয়রন ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং আর্দ্রতা বজায় রাখে। এটি বলিরেখা এবং পিগমেন্টেশনও কমায়।

৪. হজমশক্তি উন্নত করে – বিটরুট এবং আদা হজমশক্তি উন্নত করে এবং অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এটি লিভারকে বিষমুক্ত করে, যার ফলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়।

৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে- আমলা এবং আদা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও, এটি ঠান্ডা, সংক্রমণ এবং অ্যালার্জি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *