ভারত তার প্রথম দেশীয় এমআরআই মেশিন তৈরি করেছে। এইমস-দিল্লি ঘোষণা করেছে যে এই বছর অক্টোবরের মধ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এমআরআই স্ক্যানার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ইনস্টল করা হবে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হল এমআরআই স্ক্যানিং-এর খরচ কমানো এবং বিদেশি মেশিনের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করা।

এটি সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য করাও আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এই প্রকল্পটি ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে সোসাইটি ফর অ্যাপ্লায়েড মাইক্রোওয়েভ ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ (SAMEER)-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে পরিচালিত হচ্ছে।

অক্টোবরের মধ্যে ইনস্টল হওয়ার আশা

SAMEER-এর মহাপরিচালক পিএইচ রাও জানিয়েছেন যে সংস্থা বর্তমানে ক্লিনিক্যাল এবং মানব ট্রায়ালের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছে, কারণ বর্তমানে দেশে এমন কোনও ব্যবস্থা নেই যেখানে জাতীয় মান অনুযায়ী মেশিন যাচাই করা যেতে পারে। দিল্লির এইমস-এর এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন যে ১.৫ টেসলা এমআরআই মেশিন আগামী সাত মাসের মধ্যে বা এই বছরের অক্টোবরের মধ্যে ইনস্টল করা হতে পারে। এই উদ্যোগটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন কেন্দ্র সরকার দেশীয় উদ্ভাবনের মাধ্যমে চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানোর দিকে জোর দিচ্ছে।

বর্তমানে, ভারতের প্রায় ৮০-৮৫ শতাংশ চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রয়োজন আমদানি দ্বারা পূরণ করা হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে (FY24), ভারতের চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি বিল ₹৬৮,৮৮৫ কোটি পৌঁছেছে, যা FY23-এর ₹৬১,১৭৯ কোটির তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি।

দেশীয় এমআরআই মেশিন তৈরির দাবি

এইমস-এর এক কর্মকর্তা বলেছেন, এই অংশীদারিত্বের লক্ষ্য চিকিৎসার খরচ কমানো এবং আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করা। মুম্বাইয়ে কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় (MeitY)-এর গবেষণা সংস্থা আগামী মাসগুলিতে পরীক্ষা চালাবে, তবে চেন্নাই-ভিত্তিক ফিশার মেডিকেল ভেঞ্চারস এবং বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক ভক্সেলগ্রিডস ইনোভেশনস-এর মতো বেশ কয়েকটি সংস্থা ইতিমধ্যেই ভারতে তৈরি এমআরআই মেশিন তৈরির দাবি করেছে।

১.৫ টেসলা এমআরআই স্ক্যানার ইনস্টলেশন

MeitY-এর অধীনে পরিচালিত একটি স্বায়ত্তশাসিত গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা SAMEER এবং একটি প্রধান হাসপাতালের মধ্যে ১.৫ টেসলা এমআরআই স্ক্যানার স্থাপনের জন্য একটি সমঝোতা চুক্তি (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে।