কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমলে ভারতের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে ক্রমাগত বিতর্ক হয়েছে। এখন কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (CSIS) এর একজন কর্মকর্তা ভারত সহ চারটি দেশের বিরুদ্ধে কানাডার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন।

এই উন্নয়ন দেখায় যে কানাডা ক্রমশ অন্য দেশকে দোষারোপ করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে।

এই সবকিছুর পেছনের ব্যক্তি হলেন CSIS-এর ডেপুটি ডিরেক্টর ভেনেসা লয়েড। তিনি অভিযোগ করেছেন যে ভারতের কানাডার জনগণ এবং এর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার সম্ভাবনা রয়েছে। লয়েড বলেন, ভারত তার ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব জোরদার করার জন্য কানাডিয়ান সম্প্রদায়গুলিতে হস্তক্ষেপ করতে চায়।

নির্বাচনী হস্তক্ষেপের আশঙ্কা
কানাডায় সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে, সিএসআইএস রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছিল যে ভারত ছাড়াও চীন, রাশিয়া এবং পাকিস্তানও কানাডার নির্বাচনী প্রচারণায় হস্তক্ষেপ করতে পারে। লয়েড দাবি করেছেন যে চীন কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করতে পারে।

রাশিয়া ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ
রাশিয়ার বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। লয়েড বলেন, রাশিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং সংবাদ ওয়েবসাইটগুলিতে তথ্য হেরফের এবং হস্তক্ষেপ প্রচারণা চালানোর জন্য একটি নেটওয়ার্ক তৈরির চেষ্টা করেছে। তদুপরি, তিনি দাবি করেন যে পাকিস্তান কানাডার বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা
২০১৯ সালে বাস্তবায়িত ফেডারেল প্রোটোকলের অধীনে, আমলাদের একটি কমিটি যদি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে কোনও ঘটনা কানাডার নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে, তাহলে জনসাধারণকে সতর্ক করা যেতে পারে। এই প্রোটোকল অনুসারে, ভেনেসা লয়েডের নেতৃত্বে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা হুমকি পর্যবেক্ষণ কমিটিকে সতর্ক রাখা হয়েছে।

বিদেশী হস্তক্ষেপের অভিযোগ
কানাডার নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠছে। ভারত, চীন, রাশিয়া এবং পাকিস্তানের মতো দেশগুলির বিরুদ্ধে উত্থাপিত এই অভিযোগগুলি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বে, কানাডা ধারাবাহিকভাবে বিদেশী হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে এবং এই নতুন মামলাটিও একই ধারাবাহিকতার অংশ।