দই খাওয়ার সময় এই ভুলগুলি করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে! কারণটা হলো..!

দই এমন একটি খাবার যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। গ্রীষ্মকালে অনেকেই এটি প্রচুর পরিমাণে খান কারণ এর শীতল করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাছাড়া, এটি এর প্রোবায়োটিক বৈশিষ্ট্যের সাথে হজমশক্তি উন্নত করে।
তবে, দই খাওয়ার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন না করলে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবার জেনে নেওয়া যাক দই খাওয়ার সময় এই সমস্যাগুলো এড়াতে কী কী ভুল এড়িয়ে চলতে হবে।
কিছু মানুষের সকালে সরাসরি দই খাওয়ার অভ্যাস থাকে। কিন্তু এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। কারণ খালি পেটে দই খেলে অন্ত্রে অবাঞ্ছিত ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই বিকেলে অথবা দুপুরের খাবারের সাথে দই খাওয়া ভালো।
অনেকেই দুধের সাথে দই মিশিয়ে খান। কিন্তু এটি হজম ব্যবস্থার উপর বোঝা হতে পারে। যদিও দইতে ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে, তবুও দুধের সাথে এটি খেলে পেট ফাঁপা এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। তাই দই জলর সাথে মিশিয়ে বাটারমিল্ক হিসেবে পান করা ভালো।
অনেকেই দই খাওয়ার সময় লবণ বা চিনি যোগ করেন। কিন্তু এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। লবণ যোগ করলে দইয়ের প্রোবায়োটিক বৈশিষ্ট্য কমে যায়। একইভাবে, চিনি যোগ করলে হজমের সমস্যা হতে পারে। যদি আপনি মিষ্টি কিছু খেতে চান, তাহলে প্রক্রিয়াজাত চিনির চেয়ে গুড় বা মধু দিয়ে খাওয়া ভালো।
কেউ কেউ কলা, আম এবং স্ট্রবেরির মতো ফলের সাথে দই মিশিয়ে খান। কিন্তু এটা শরীরের জন্য খুব একটা ভালো নয়। দইয়ের শীতল করার গুণ আছে, কিন্তু আম তাপ হিসেবে কাজ করে। এই দুটির মিশ্রণ পরিপাকতন্ত্রে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করতে পারে। এছাড়াও, পেঁয়াজ বা শসার সাথে এটি খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই দই অন্যান্য উপাদানের সাথে না মিশিয়ে আলাদাভাবে খাওয়াই ভালো।
কিছু মানুষের রাতে দই খাওয়ার অভ্যাস থাকে। তবে, দইয়ের শীতল করার বৈশিষ্ট্য থাকায়, এটি শরীরে কফ বৃদ্ধি করে। এর ফলে শ্বাসকষ্ট, কাশি এবং সর্দি-কাশির ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। রাতারাতি দই পান করে তা বাটারমিল্কে পরিণত করা ক্ষতিকর নয়।
কেউ কেউ থালায় দই গরম করেন। কিন্তু দই গরম করলে এর মধ্যে থাকা প্রোবায়োটিক নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই দই তার প্রাকৃতিক অবস্থায় খাওয়া সর্বদা ভালো।
দই খাওয়ার সঠিক উপায়
দুপুরের খাবারের সাথে দই খাওয়া সবচেয়ে ভালো।
রাতে এটি বাটারমিল্ক আকারে পান করা ভালো।
লবণ এবং চিনি না মিশিয়ে দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
গ্রীষ্মকালে পরিমিত পরিমাণে দই খাওয়া উচিত।
দই খুবই স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। তবে, এটি খাওয়ার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন না করলে, অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। সুস্থ থাকার জন্য সঠিকভাবে দই খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।