চাণক্য নীতি: যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এই বৈশিষ্ট্যগুলি থাকে.. চাণক্য বলেছেন যে তাদের বিবাহিত জীবন ভেঙে যাবে..

নবদম্পতির জন্য সবকিছু ঠিকঠাক হবে। কিন্তু বছর গড়িয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বিবাহিত জীবনে হতাশা দানা বাঁধে। সুখী জীবনযাপন করতে চাইলেও..
মন বিপরীত দিকে চলতে পারে। শুধু তাই নয়, স্বামী-স্ত্রী যদি একে অপরকে না বোঝেন, তাহলে তাদের একসাথে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। চাণক্য তার নীতিশাস্ত্র গ্রন্থে ব্যাখ্যা করেছেন যে কীভাবে একজন স্বামী তার স্ত্রীর শত্রু হয়ে ওঠে বা কেন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভেঙে যায়। তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে বিবাহিত জীবন তখনই সুখী হতে পারে যদি দম্পতি কিছু জিনিস ঠিক করে।
উপহাস: জীবনে সকলেরই অসুবিধা আসে। সুখ এবং দুঃখ একই মুদ্রার দুটি পিঠ। কঠিন সময়ে কোনও সঙ্গীরই একে অপরকে পরিত্যাগ করা উচিত নয়। স্বামী-স্ত্রীর একে অপরকে কোনওভাবেই মজা করা উচিত নয়। কাউকে নিয়ে মজা করা এবং জীবনের সমস্যার কারণ হিসেবে তাদের দোষারোপ করা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ফাটল তৈরি করে। তাই জীবনের ছোট ছোট জিনিসগুলোকে উপেক্ষা করতে শিখুন। যদি তুমি এটা না করো, তাহলে তোমার বিবাহিত জীবনে অনিবার্যভাবে সমস্যা হবে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে ফাটল ধরার সম্ভাবনা রয়েছে।
যোগাযোগের অভাব: বিবাহিত জীবনে যত সমস্যাই থাকুক না কেন, স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের সাথে কথা বলা উচিত। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছোটখাটো ঝগড়া খুবই সাধারণ। তাই একে অপরের সাথে কথা বলা থেকে দূরে থেকো না। যোগাযোগের অভাব দুজনের মধ্যে দূরত্ব বাড়ায় এবং বিবাহিত জীবনে সম্প্রীতি হ্রাস করে।
রাগ করা: রাগ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমস্ত সম্পর্ক শেষ করে দেয়। রাগ মানুষকে তার জ্ঞান ভুলে যেতে বাধ্য করে। স্বামী-স্ত্রীর রাগের সময় কঠোর আচরণ করা উচিত নয়। সমস্যাটি শান্তভাবে সমাধান করা গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া, রাগের বশে বলা কথাগুলো একটা সম্পর্ক শেষ করে দিতে পারে। তাই, তিনি স্বামী-স্ত্রীকে তাদের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চাইলে তাদের রাগ নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
উচ্চ ব্যয়: বেঁচে থাকার জন্য অর্থ খুবই প্রয়োজনীয়। সামঞ্জস্যতা তখনই সম্ভব যখন উভয় স্বামী/স্ত্রীরই অর্থ ব্যয় করার পদ্ধতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকে। পারিবারিক আরাম-আয়েশে ব্যয় করা ভালো। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় খরচ… আর্থিক সমস্যা। তারপর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও ঝগড়া হবে। অতএব, অর্থ কীভাবে ব্যয় করা হয় সেদিকে আরও মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
ব্যক্তিগত বিষয়গুলো অন্যদের জানানো: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গোপনীয়তা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের দুজনেরই নিজেদের মধ্যেকার বিষয়গুলো গোপন রাখতে হবে। এই গোপন কথাগুলো কখনোই তৃতীয় কাউকে বলা উচিত নয়। আপনার স্ত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য তৃতীয় পক্ষের সাথে শেয়ার না করার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। যদি কোনও স্বামী/স্ত্রী তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে কিছু জিনিস শেখে, তাহলে তা বৈবাহিক জীবনে বিবাদের কারণ হতে পারে।
বারবার মিথ্যা বলা: স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালোবাসা, বিশ্বাস এবং বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত। এই বিশ্বাস সম্পর্কের একটি শক্ত ভিত্তি। তবে, কখনও কখনও, অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে, সবচেয়ে উপযুক্ত পরিস্থিতিতে মিথ্যা বলা হয়। তবে, যদি আপনি মিথ্যা বলার অভ্যাস গড়ে তোলেন, তাহলে তা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পথ তৈরি করে। তবে, চাণক্য বলেছিলেন যে স্বামী-স্ত্রীর উচিত তাদের সঙ্গীর কাছে সত্য বলার মাধ্যমে একে অপরের প্রতি আস্থা বজায় রাখা।