বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন: অস্বীকারের পথে ইউনুসের সরকার, উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের

সম্প্রতি, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভারতের বিদেশমন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির সামনে উপস্থাপিত হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের মতে, ইউনুস সরকার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনাকে স্বীকার করতে নারাজ। বরং, তারা এই বিষয়টিকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করছে।
কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের নেতৃত্বে গঠিত স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে বিদেশমন্ত্রক তাদের উপস্থাপনায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার বিষয়টি তুলে ধরেছে। তারা উল্লেখ করেছে যে, বাংলাদেশ সরকার সংখ্যালঘু নির্যাতনের রিপোর্টগুলি অস্বীকার করছে এবং এই ঘটনাগুলিকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করছে।
বিদেশমন্ত্রকের সচিব বিক্রম মিস্রি কমিটির কাছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ এবং এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছেন। তার মতে, এই অস্থিরতা ভারতের নিরাপত্তার ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, বাংলাদেশের সেনাপ্রধানও দেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার কথা স্বীকার করেছেন, যেখানে সম্পত্তি ধ্বংস এবং সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনাগুলি অন্তর্ভুক্ত। তবে, ইউনুস সরকার এই রিপোর্টগুলি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং সংবাদমাধ্যমকে এই বিষয়ে অতিরঞ্জিত খবর প্রকাশের জন্য অভিযুক্ত করেছে।
এই পরিস্থিতিতে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ইউনুস সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব ও ভারতের অবদান স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। একই দিনে, বিদেশমন্ত্রকের এই উদ্বেগ প্রকাশ বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
বাংলাদেশ সরকার সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা অস্বীকার করছে।
ভারত এই বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি।