বিস্ফোরক তথ্য: নিষিদ্ধ ওষুধের চোরাচালানে চিন ও ভারতের নাম!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বন্ধু বা শত্রু নির্বিশেষে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। সম্প্রতি, মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আমেরিকায় নিষিদ্ধ ওষুধ ‘ফেন্টানাইল’ এবং এর উপাদান সবচেয়ে বেশি পাচার হয় চিন থেকে। আর এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম ভারত নিষিদ্ধ ওষুধ চোরাচালানের অভিযোগে অভিযুক্ত হল। যা ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গাবার্ডের দপ্তর থেকে প্রকাশিত ‘বার্ষিক ঝুঁকি পর্যালোচনা রিপোর্টে’ চিন ও ভারতকে যৌথভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই ফেন্টানাইল, যা আসলে ব্যথা উপশমের ওষুধ, মরফিনের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ওষুধের চোরাচালান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক শুল্ক নীতির অন্যতম কারণ।
মার্কিন প্রশাসনের দাবি, কানাডা, মেক্সিকো এবং চিনা পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের মূল উদ্দেশ্য হল ফেন্টানাইলের চোরাচালান বন্ধ করা। ট্রাম্প প্রশাসন অভিযোগ করেছে, চিনের তৈরি বহু অবৈধ ওষুধ মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে আমেরিকায় প্রবেশ করলেও বেজিং কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। যতদিন এই পরিস্থিতি চলবে, ততদিন চিনা পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক জারি থাকবে।
ফেন্টানাইল চোরাচালানের অভিযোগে অভিযুক্ত কানাডা মার্কিন প্রশাসনের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। চিনও তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, আমেরিকা কর আরোপের জন্য অযৌক্তিক অজুহাত দিচ্ছে। এখন, মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে ভারতের নাম যুক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।