সারা ভারত জুড়ে ঈদ-উল-ফিতরের আনন্দ ও ঐক্যের মুহূর্তে রঙিন হয়ে উঠেছে। দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, লখনউ এবং কলকাতার মতো শহরে মানুষ নতুন পোশাক পরে, নমাজ পড়ে এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করছে। এই পবিত্র উৎসবের সঙ্গে সম্পর্কিত শান্তি, সম্প্রীতি এবং দানের বার্তা দেশের বিশিষ্ট নেতারা তাদের শুভেচ্ছা মেসেজের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, রক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও রাহুল গান্ধী, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ অনেকেই দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ লিখেছেন, “পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সকল সহ-নাগরিক, বিশেষ করে মুসলিম ভাই-বোনদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। এই উৎসব ভ্রাতৃত্ববোধকে শক্তিশালী করে এবং করুণা ও দানের মনোভাব গ্রহণের বার্তা দেয়। আমি কামনা করি যে এই উৎসব সকলের জীবনে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং সুখ বয়ে আনুক।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর শুভেচ্ছায় লিখেছেন, “ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা। এই উৎসব আমাদের সমাজে আশা, সম্প্রীতি এবং দয়ার চেতনা বৃদ্ধি করুক। তোমার সকল প্রচেষ্টায় সুখ এবং সাফল্য লাভ করুক। শুভ ঈদ!”

উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় জানিয়েছেন, “ঈদ-উল-ফিতরের শুভ উপলক্ষে আমি আমার দেশের সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। এই উৎসব আমাদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং ঐক্যবদ্ধতার শক্তিকে মনে করিয়ে দেয়।” রক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তাঁর পোস্টে লিখেছেন, “ঈদ-উল-ফিতরের আন্তরিক শুভেচ্ছা। এই উৎসব সকলের জীবনে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনুক।”

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং সাংসদ রাহুল গান্ধীও তাদের শুভেচ্ছা প্রকাশ করেছেন। খাড়গে বলেন, “ঈদ-উল-ফিতরের এই আনন্দের উপলক্ষে, আমি আমার সহ-নাগরিকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। এই উৎসব আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, সহানুভূতি এবং ভাগাভাগির চেতনাকে গভীরভাবে পুনরুজ্জীবিত করে।” রাহুল গান্ধী লিখেছেন, “ঈদ মোবারক! এই আনন্দঘন উপলক্ষ আপনার এবং আপনার প্রিয়জনদের জন্য শান্তি, সুখ, সমৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্য বয়ে আনুক।”

আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছেন, “ঈদ মোবারক। এই শুভ দিনে, আমরা অনুরোধ করছি যে দেশ ও রাজ্যে সর্বদা শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব বজায় থাকুক। ঈদের দিন হলো প্রতিদানের দিন। ঈশ্বর আমাদের সকলের উপর তাঁর আশীর্বাদ বর্ষণ করুন।” উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তাদের কার্যালয়ের পোস্টে বলেন, “ঈদ-উল-ফিতরের উৎসব সুখ ও সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে আসে। এই উৎসব সামাজিক ঐক্যকে শক্তিশালী করে। আমি জনগণকে সামাজিক সম্প্রীতি আরও জোরদার করার জন্য শপথ নেওয়ার আহ্বান জানাই।”