কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের ভ্যাকসিন কূটনীতির জন্য প্রশংসা করেছেন, যা তিনি বলেন ভারতকে বিশ্ব মঞ্চে একটি নতুন পরিচয় ও নরম শক্তি প্রদান করেছে। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, ২০২১ সালে শুরু হওয়া “ভ্যাকসিন মৈত্রী” উদ্যোগ ভারতকে বিশ্বনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করেছে এবং দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকায় চীনের প্রভাবের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

থারুর তার একটি প্রবন্ধে লিখেছেন, “ভারত তার ভ্যাকসিন উৎপাদন ক্ষমতা সঠিকভাবে ব্যবহার করেছে, যা বিশ্বব্যাপী মানবিক এবং কৌশলগত স্বার্থের মধ্যে একটি দুর্দান্ত ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করেছে।” তিনি বলেন, যখন ধনী দেশগুলো তাদের নিজেদের জনসংখ্যার জন্য টিকা মজুদ করছিল, তখন ভারত অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল, যা একটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে।

ভ্যাকসিন মৈত্রী: বিশ্বব্যাপী প্রভাব:
২০২১ সালের জানুয়ারিতে কোভিড-১৯ মহামারীর শীর্ষে “ভ্যাকসিন মৈত্রী” উদ্যোগ শুরু হয়, যার মাধ্যমে ভারত প্রচুর পরিমাণে টিকা বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করেছে। COVAX উদ্যোগের অংশ হিসেবে ভারত বিশ্বব্যাপী টিকা বিতরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। থারুর জানিয়েছেন, “এই উদ্যোগ ভারতের ফার্মাসিউটিকাল ক্ষমতা ও মানবিক মূল্যবোধের প্রমাণ।” তিনি আরও বলেন, যদিও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় টিকা রপ্তানি সাময়িকভাবে বন্ধ হয়েছিল, তবুও ভারতের কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ তাকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে শক্তিশালী করেছে।

নরম শক্তির বৃদ্ধি:
থারুরের মতে, ভ্যাকসিন কূটনীতি ভারতের নরম শক্তি (Soft Power) বাড়িয়েছে, যা আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ভারতের প্রভাব বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। তিনি লিখেছেন, “ভারত মালদ্বীপ, নেপাল, কুয়েতের মতো দেশে সামরিক ডাক্তার পাঠিয়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য অনলাইন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।” এছাড়া, GAVI, Quad এবং Pan Africa e-Network-এর মতো বিশ্বব্যাপী উদ্যোগে ভারতের অংশগ্রহণ দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্ব স্থাপন করেছে।