প্রচণ্ড গ্রীষ্মের মধ্যে যখন তাপমাত্রা চরমে ওঠে, তখন শীতল বাতাস পাওয়া প্রত্যেকের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এসি (এয়ার কন্ডিশনার) সবার জন্য সুলভ নয়, তাই অনেকে কুলারের উপর নির্ভর করেন। তবে, কখনও কখনও কুলার থেকে আসা বাতাস সেই প্রত্যাশিত ঠান্ডা দিতে ব্যর্থ হয়। এমন পরিস্থিতিতে, আমরা আপনার জন্য আনছি তিনটি সহজ ও কার্যকর টিপস, যার মাধ্যমে আপনি কুলারের বাতাসকে এসির মতো ঠান্ডা করতে পারবেন—সস্তা, সহজ এবং প্রাকৃতিক উপায়ে।

১. মাটির পাত্রের জাদু:
কাদামাটির প্রাকৃতিক শীতলতা বজায় রাখার ক্ষমতা রয়েছে, যা কুলারের জলকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। একজন বাড়ির যন্ত্রপতি বলেন, “যদি আপনার কোনো পুরানো বা ভাঙা মাটির পাত্র বা মটকা থাকে, তবে তার টুকরোগুলো কুলারের জলের ট্যাঙ্কে রেখে দিন। আপনি মাটির বাতিও ব্যবহার করতে পারেন, যা একইভাবে কার্যকর।” এই পদ্ধতি জলকে প্রাকৃতিকভাবে শীতল রাখে এবং কুলারের বাতাসে একটি স্বাস্থ্যকর শীতলতা যোগ করে।

২. পুদিনার শক্তি:
পুদিনা পাতা শুধু রান্নায়ই নয়, কুলারের বাতাসকে আরও ঠান্ডা ও তাজা করতেও কাজ করে। একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, “পুদিনার শীতলকারী গুণ জলকে দীর্ঘ সময়ের জন্য তাজা রাখে। কুলারের জলের ট্যাঙ্কে কয়েকটি পুদিনা পাতা রাখলে, আপনি গ্রীষ্মের গরম থেকে মুক্তি পাবেন এবং বাতাসে একটি সতেজ অনুভূতি পাবেন।” এই উপায়টি সস্তা এবং সহজ, যা বাড়ির প্রত্যেকের জন্য প্রযোজ্য।

৩. ভেজা কাপড়ের কৌশল:
কুলার বাইরের গরম বাতাস টেনে নিয়ে তাকে শীতল করে ভেতরে ছুড়ে দেয়। তবে, গ্রীষ্মে বাইরের বাতাস এত গরম হয় যে, কুলারের কার্যক্ষমতা কমে যায়। একজন টেকনিকাল এক্সপার্ট সুপ্রিয় দাস বলেন, “কুলারের বাইরে দরজায় একটি ভেজা কাপড় বা মোটা তোয়ালে রাখলে, বাতাস তার মধ্য দিয়ে ফিল্টার হয়ে শীতল হবে। এটি কুলারের শীতলতা বাড়াতে সাহায্য করে।” এই পদ্ধতি সস্তা এবং তাৎক্ষণিক ফলাফল দেয়।

অতিরিক্ত টিপ:
কুলারের জলকে আরও ঠান্ডা রাখতে আপনি রেফ্রিজারেটর থেকে ঠান্ডা জলর বোতলও ট্যাঙ্কে রাখতে পারেন। একজন ব্যবহারকারী বলেন, “বরফ দ্রুত গলে যায়, কিন্তু জলর বোতল দীর্ঘ সময় ধরে ঠান্ডা রাখে, যা কুলারের বাতাসকে আরও কার্যকর করে।”