পায়রার আতঙ্ক থেকে এসি বাঁচান, ৬ সহজ উপায়ে সমাধান!

গ্রীষ্মের তাপে এসি চালু হতেই কবুতরদের আগ্রাসন শুরু। বাইরের ইউনিটে বাসা, মলত্যাগ আর পালকের জঞ্জালে এসি নোংরা হয়ে যাচ্ছে। এমনকি ডিম পড়লে পরিষ্কার করাও দায়। তবে চিন্তার কিছু নেই। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে ৬টি সহজ উপায়ে কবুতরদের এসির কাছেও ঘেঁষতে দেবেন না, আর আপনার এসি থাকবে নিরাপদ।
সমস্যার চিত্র
স্প্লিট বা উইন্ডো এসি—দুটোতেই কবুতর, কাঠবিড়ালি বা অন্য পাখিরা বাসা বাঁধে। এসি ইউনিটের উষ্ণতা ও নিরাপদ জায়গা তাদের আকর্ষণ করে। ফল? মল, পালক আর ডালপালায় ইউনিট নোংরা, এমনকি যান্ত্রিক ক্ষতিও হয়। দিল্লির এসি টেকনিশিয়ান রমেশ কুমার বলেন, “গ্রীষ্মে ৩০% কল আসে কবুতরের কারণে ইউনিট নষ্ট হওয়ার। পরিষ্কার করতে গেলে বাসা সরানো নিয়ে ঝামেলা।”
৬টি কার্যকর সমাধান
- পাখির কাঁটা: এসি ইউনিটের উপর স্বচ্ছ, সূঁচালো কাঁটা বসান। এটি পাখিদের বসতে বাধা দেয়, তবে ক্ষতি করে না। বাজারে ২০০-৫০০ টাকায় পাওয়া যায়।
- এসি কভার: ব্যবহার না করলে ইউনিট ঢেকে রাখুন। এটি ধুলো, মল ও বাসা থেকে সুরক্ষা দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, “এটি সবচেয়ে সহজ প্রতিরোধ।”
- বার্ড ফিডার সরান: এসির কাছে খাবারের বাক্স থাকলে পাখিরা আকৃষ্ট হয়। এটি দূরে রাখুন।
- ফাঁক সিল করা: ইউনিটের ফাঁক থাকলে সিলিকন বা ফোম দিয়ে বন্ধ করুন। এটি বাসা বাঁধার জায়গা কমায়।
- শুরুতেই বাসা সরান: ডিম পড়ার আগে বাসা হঠান। পরে সরালে আইনি ও নৈতিক জটিলতা হতে পারে।
- থার্মোকল কাঁটা: থার্মোকল শীটে ২০-২৫টি পেরেক লাগিয়ে ইউনিটে আটকান। এটি সস্তা (১০০-১৫০ টাকা) ও কার্যকর।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
কবুতরের মল এসির ফিন ও কয়েল নষ্ট করে, যার মেরামত খরচ ৫,০০০-১০,০০০ টাকা হতে পারে। এছাড়া, নোংরা ইউনিট থেকে দুর্গন্ধ ও ব্যাকটেরিয়া ছড়ায়। এসি বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় মেহতা বলেন, “বছরে ২-৩ বার পরিষ্কার না করলে কুলিং কমে, বিদ্যুৎ বিল বাড়ে।” পরিসংখ্যানে, ভারতের শহরে ৪০% এসি সমস্যা পাখি-সংক্রান্ত।