শেয়ার বাজারে ঝড়: ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের পথ কী?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির ঘূর্ণিঝড়ে বিশ্ব বাজারে অস্থিরতা। বেশিরভাগ দেশের উপর শুল্ক বৃদ্ধি ৯০ দিনের জন্য স্থগিত হলেও, চীনের উপর ১২৫% শুল্ক অটল রয়েছে। এর ফলে বুধবার ওয়াল স্ট্রিটে ২০০৮ সালের পর সবচেয়ে বড় উত্থান দেখা গেলেও, বৃহস্পতিবার আবার পতনের ধাক্কা। ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য এই পরিস্থিতি সুযোগ না ঝুঁকি—বিশেষজ্ঞদের মতামত তুলে ধরছে এই প্রতিবেদন। ভারতে শুল্ক মাত্র ১০% থাকায় বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগ (FPI) বাড়তে পারে। তবে, চীনের ডাম্পিং হুমকি ও ৯০ দিন পর ট্রাম্পের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে অনিশ্চয়তা উদ্বেগের কারণ।
বিশেষজ্ঞরা ভিন্ন ভিন্ন পথের ইঙ্গিত দিচ্ছেন। পিপিএএস মিউচুয়াল ফান্ডের সিআইও রাজীব ঠক্কর বলেন, “এই বাণিজ্য যুদ্ধ ২০০৮ বা মহামারীর মতো ভয়াবহ নয়। ভালো কো ম্পা নি সস্তায় কিনুন, তবে রঙ বা গয়নার মতো প্রতিযোগিতামূলক খাত এড়িয়ে চলুন।” তার তহবিলে ২৪.৫% নগদ রয়েছে, যা সতর্কতার প্রতিফলন। আইসিআইসিআই প্রুডেন্সিয়ালের সিআইও শঙ্করন নারায়ণ মনে করেন, “২০২৫ সবচেয়ে বিপজ্জনক হতে পারে। বৈচিত্র্যপূর্ণ পোর্টফোলিও রাখুন—ইকুইটি, ঋণ, সোনা।” তিনি লার্জ-ক্যাপ স্টকের প্রতি আস্থা দেখিয়ে মিড ও স্মল-ক্যাপে সতর্কতার পরামর্শ দেন। মিরে অ্যাসেটের স্বরূপ মোহান্তি বলেন, “এটি সঞ্চয়ের বছর। বাজারের পতনকে পোর্টফোলিও শক্ত করার সুযোগ হিসেবে দেখুন।” তিনি ব্যাংকিং ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে সম্ভাবনা দেখছেন।
ভারতের জন্য সুখবরও আছে। স্থিতিশীল রুপি, সুদের হার কমা ও তেলের দাম নিম্নমুখী থাকায় অর্থনীতি ৬-৭% বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে, কাঠামোগত দুর্বলতা ও বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা চ্যালেঞ্জ। মোজাইক অ্যাসেটের মনীশ ডাঙ্গি বলেন, “এখন বৃদ্ধির নয়, বেঁচে থাকার সময়। স্থানীয় কো ম্পা নিতে বিনিয়োগ করুন।” বিনিয়োগকারীদের জন্য পরামর্শ: সতর্কতার সঙ্গে সুযোগ কাজে লাগান, তবে তাড়াহুড়ো এড়ান।