লিভার সিরোসিসের শেষ পর্যায়: এই লক্ষণ দেখলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

লিভার সিরোসিস একটি গুরুতর রোগ, যা শেষ পর্যায়ে পৌঁছালে শরীরে একাধিক জটিল লক্ষণ প্রকাশ পায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই লক্ষণগুলো উপেক্ষা করলে জীবনঝুঁকি বাড়তে পারে। পেটে জল ধরে রাখা, ত্বকের হলুদভাব, নাক দিয়ে রক্তপাতের মতো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। এই প্রতিবেদনে আমরা এই রোগের শেষ পর্যায়ের লক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছি।
পেটে জল ধরে রাখা বা অ্যাসাইটিস লিভার সিরোসিসের একটি গুরুতর লক্ষণ। এতে পেট ফুলে যায় এবং হাঁটাচলা বা বসায় অস্বস্তি হয়। একইভাবে, পা ও গোড়ালির ফোলাভাবও লিভারের কার্যকারিতা হ্রাসের সংকেত। দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডা. রাকেশ তন্ডন বলেন, “এই ফোলাভাব প্রায়ই সন্ধ্যায় বাড়ে এবং এটি উপেক্ষা করা ঝুঁকিপূর্ণ।” এছাড়া, ত্বক ও চোখের হলুদভাব (জন্ডিস) বিলিরুবিনের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে দেখা দেয়। লিভারের ক্ষতি হলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ ব্যাহত হয়, ফলে ত্বকে চুলকানি ও ফুসকুড়িও হতে পারে।
আরও উদ্বেগজনক লক্ষণ হল নাক দিয়ে রক্তপাত এবং মানসিক বিভ্রান্তি। লিভার রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা হারালে নাক দিয়ে রক্তপাত সাধারণ হয়ে ওঠে। এছাড়া, হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথির কারণে রোগীরা স্মৃতিভ্রংশ, মনোযোগের অভাব বা অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যায় ভুগতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, এই লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে লিভার ফাংশন টেস্ট (এলএফটি) এবং ইমেজিং পরীক্ষা করানো উচিত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, ভারতে প্রতি বছর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, যার অন্যতম কারণ হল অ্যালকোহল সেবন এবং হেপাটাইটিস। তাই, প্রাথমিক সতর্কতা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাই এই রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।