বিশ্বের প্রথম এআই শিশু: বন্ধ্যাত্বের বিরুদ্ধে নতুন আশা

বিশ্বের প্রথম এআই শিশু: বন্ধ্যাত্বের বিরুদ্ধে নতুন আশা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রজনন চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটিয়েছে—বিশ্বে প্রথম এআই-সহায়তাপ্রাপ্ত আইভিএফ শিশুর জন্ম হয়েছে। এই অগ্রগতি নিঃসন্তান দম্পতিদের জন্য আশীর্বাদের মতো, যারা বন্ধ্যাত্বের কারণে সন্তানের স্বপ্ন দেখতে বাধাপ্রাপ্ত। এআই-চালিত এই প্রযুক্তি প্রথাগত আইভিএফ পদ্ধতিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে, সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়িয়েছে।

এই পদ্ধতিতে এআই অ্যালগরিদম মাইক্রোস্কোপিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে সবচেয়ে উপযুক্ত শুক্রাণু নির্বাচন করে। লেজারের সাহায্যে শুক্রাণু নিষ্ক্রিয় করা হয়, এবং রোবোটিক সিস্টেম ডিম্বাণুতে নির্ভুল ইনজেকশন দেয়—সবই মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই। একজন ৪০ বছর বয়সী মহিলা, ব্যর্থ আইভিএফ প্রচেষ্টার পর, দাতা ডিম ব্যবহার করে এই পদ্ধতিতে সুস্থ শিশুর মা হয়েছেন। “এই প্রযুক্তি আমাদের জীবন বদলে দিয়েছে,” বলেন তিনি। চিকিৎসকরা জানান, এআই নির্ভুলতা ও গতি বাড়িয়ে প্রক্রিয়াটিকে আরও কার্যকর করেছে।

তবে, বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, ব্যাপক ব্যবহারের আগে আরও গবেষণা প্রয়োজন। “এটি প্রজনন চিকিৎসার ভবিষ্যৎ, তবে নৈতিক ও প্রযুক্তিগত দিক বিবেচনা জরুরি,” বলেন ড. সারা মিত্রা, প্রজনন বিশেষজ্ঞ। এই অর্জন আইভিএফকে সাশ্রয়ী ও অ্যাক্সেসযোগ্য করার পথে নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করেছে, লাখো দম্পতির জন্য আশার আলো জ্বেলেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *