মুগ ডালে ক্যান্সারের ঝুঁকি? কীটনাশকের ভয়াবহ প্রভাব

মুগ ডালে ক্যান্সারের ঝুঁকি? কীটনাশকের ভয়াবহ প্রভাব

মুগ ডাল, প্রোটিনের পাওয়ার হাউস হিসেবে পরিচিত, এখন ক্যান্সারের আশঙ্কায় আলোচনায়। গ্রীষ্মে ৬০-৭০ দিনের মুগ চাষে হলুদ মোজাইক ভাইরাসের আক্রমণ রোধে কৃষকরা মিথোমিলসহ বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার করেন। এই রাসায়নিক মাটি, বাতাস ও ডালের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে রক্ত, লিভার, কিডনি এবং ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কৃষি বিজ্ঞানী ড. অমিত কুমার শর্মা বলেন, “মিথোমিল মাটিতে পাঁচ বছর থেকে যায়, যা ফসল ও পশুদেরও ক্ষতি করে।”

মার্কিন গবেষণায় দেখা গেছে, ৬৯টি কীটনাশকের মধ্যে মিথোমিলের ক্যান্সার সৃষ্টির সম্ভাবনা ধূমপানের সমতুল্য। এটি শ্বাস, ত্বক বা খাবারের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে টক্সিন ছড়ায়। ভারতের কৃষক ও ভোক্তারা এর সবচেয়ে বেশি শিকার। বিশ্লেষকরা মনে করেন, অজৈব চাষের প্রসার এবং নিয়ন্ত্রণের অভাব এই সমস্যাকে তীব্র করেছে। জৈব চাষ ও প্রাকৃতিক কীটনাশক ব্যবহারই এর সমাধান হতে পারে।

মুগ ডাল নিরাপদে খেতে জৈব ডাল বেছে নিন। রান্নার আগে ২-৩ বার ধুয়ে কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। রঙ বের হলে খাবেন না। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, কীটনাশক নিয়ন্ত্রণে সরকারি পদক্ষেপ জরুরি, নইলে ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বাস্থ্যও বিপন্ন হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *