মৃত্যুর পূর্বাভাস: শরীরের পাঁচটি গোপন সংকেত

পুরাণ ও শাস্ত্র অনুসারে, মৃত্যুর আগে শরীর কিছু সুনির্দিষ্ট লক্ষণ প্রকাশ করে, যা জীবনের শেষ মুহূর্তের ইঙ্গিত দেয়। শিবপুরাণে বলা হয়, নাভিচক্র, শরীরের কেন্দ্রীয় শক্তিস্থল, মৃত্যুর প্রথম সংকেত দেয়। এই সময় চোখ, মুখ, জিহ্বা, কান ও নাক পাথরের মতো অনুভূত হয় এবং ধীরে ধীরে কার্যক্ষমতা হারায়। শরীরে নীল বা হলুদ আভা এবং লাল দাগও দেখা দিতে পারে, যা মৃত্যুর নিকটবর্তীতার লক্ষণ।
সামুদ্রিক শাস্ত্রে উল্লেখ, মৃত্যুর কয়েক দিন আগে ব্যক্তি নিজের ছায়া দেখতে অক্ষম হন, যদিও ছায়া থাকে। পুরাণে বলা হয়, এই সময় সূর্য, চন্দ্র, আগুনের আলো এবং মেরু নক্ষত্র অদৃশ্য হয়ে যায়, শুধু মিটমিটে তারা দৃশ্যমান থাকে। শাস্ত্র মতে, মৃত্যুর পর প্রাণ নাভিতে ছয় মিনিট অবস্থান করে, তারপর আত্মা শরীর ত্যাগ করে। আধ্যাত্মিক গুরু স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেন, “নাভিচক্র জীবনের সূচনা ও সমাপ্তির দ্বার। এর সংকেত অগ্রাহ্য করা যায় না।”
বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই লক্ষণগুলি শুধু ধর্মীয় নয়, শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের সঙ্গেও সম্পর্কিত। তবে, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান এগুলোকে সরাসরি মৃত্যুর সংকেত হিসেবে গ্রহণ না করে শরীরের অবনতির লক্ষণ বলে। এই জ্ঞান জীবনের অনিত্যতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায় এবং মৃত্যুকে শান্তভাবে গ্রহণে সহায়তা করে।