বাংলাদেশের সূতো আমদানি নিষেধাজ্ঞা: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়ছে

বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভারত থেকে সুতা আমদানির উপর তাৎক্ষণিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যা বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দরে কার্যকর হয়েছে। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, ভারতের সস্তা সুতা স্থানীয় মিলের জন্য ক্ষতিকর। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশে ৩০টি একক সুতার দাম ৩.৪০ ডলার/কেজি, ভারতে ২.৯০ ডলার। এনবিআর দাবি করে, অপর্যাপ্ত অবকাঠামোর কারণে আমদানিকারকরা কর ফাঁকি দিচ্ছে।
তবে, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এই পদক্ষেপকে “আত্মঘাতী” আখ্যা দিয়ে বলেন, “এটি পোশাক রপ্তানিকারকদের ব্যয় বাড়াবে, ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোগের প্রতিযোগিতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” ২০২৪-এ বাংলাদেশ ভারত থেকে ১.২৫ মিলিয়ন টন সুতা আমদানি করেছে, যা তার পোশাক শিল্পের ৯৫% চাহিদা পূরণ করে। এই নিষেধাজ্ঞা শিল্পের মেরুদণ্ডকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
এই সিদ্ধান্ত ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি ভারত বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে, যা ইউনূসের উত্তর-পূর্ব ভারতকে “স্থলবেষ্টিত” বলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ব্যয় বাড়াবে এবং ভারতের বিকল্প বাজার খোঁজার প্রয়োজনীয়তা তৈরি করবে।