শ্রীলঙ্কার নৌ-মহড়া বাতিল: ভারতের কূটনৈতিক জয়, পাকিস্তানের অপমান

ভারতের কূটনৈতিক চাপের মুখে শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানের সঙ্গে ত্রিনকোমালি বন্দরের কাছে প্রস্তাবিত নৌ-মহড়া বাতিল করেছে। কৌশলগতভাবে সংবেদনশীল এই বন্দরে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের যৌথ জ্বালানি প্রকল্প চলছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য ও জ্বালানি কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানের নৌ-উপস্থিতি ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শ্রীলঙ্কা সফরের আগে এই মহড়ার প্রস্তাব আসে, যখন ভারত-শ্রীলঙ্কা প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারত কলম্বোর হাইকমিশনের মাধ্যমে আপত্তি জানালে শ্রীলঙ্কা মহড়া বাতিল করে, পাকিস্তানের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে। এক বিশ্লেষক বলেন, “পাকিস্তানের এই উদ্যোগ ভারতকে কৌশলগতভাবে চ্যালেঞ্জ করার প্রয়াস ছিল।” শ্রীলঙ্কার এই সিদ্ধান্ত ভারতের সঙ্গে তার কৌশলগত সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয়, বিশেষত চীনা নজরদারি জাহাজের উপর সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার পর।
পাকিস্তানের যুদ্ধজাহাজ পিএনএস আসলাত সম্প্রতি কলম্বোতে সীমিত মহড়ায় অংশ নিলেও, ত্রিনকোমালির বৃহৎ মহড়া বাতিল হওয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মুখে কূটনৈতিক চপেটাঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভারতের এই সাফল্য দক্ষিণ এশিয়ায় তার ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও চীন-পাকিস্তান জোটের বিরুদ্ধে সতর্কতার ইঙ্গিত দেয়।