বোগেনভিল: বিশ্বের নতুন দেশের পথে, আমেরিকার কৌশলগত সুযোগ

প্রশান্ত মহাসাগরের বোগেনভিল দ্বীপপুঞ্জ ২০১৯ সালে ৯৭.৭% ভোটে স্বাধীনতার পক্ষে রায় দিয়ে বিশ্বের নতুনতম দেশ হওয়ার পথে এগোচ্ছে। তবে, পাপুয়া নিউ গিনির অংশ এই দ্বীপের স্বাধীনতা এখনো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাধার মুখে। প্রাক্তন বিদ্রোহী নেতা ও বোগেনভিলের রাষ্ট্রপতি ইসমাইল তোরোমা বলেন, “স্বাধীনতা প্রশ্ন নয়, সময়ের ব্যাপার মাত্র।”
৩০০,০০০ জনসংখ্যার এই দ্বীপপুঞ্জে তামার খনি ও কৌশলগত অবস্থান এটিকে ভূ-রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন হাইকমিশনার ইয়ান কেমিশ বলেন, “পাপুয়া নিউ গিনির সংসদ বোগেনভিলকে ছাড়তে চায় না।” দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের (১৯৮৮-১৯৯৮) পর ২০০১ সালের শান্তি চুক্তি গণভোটের পথ খুললেও, ২০২৭-এর লক্ষ্য এখনো অনিশ্চিত।
বোগেনভিলের অবস্থান আমেরিকার জন্য কৌশলগত সুযোগ, বিশেষত চীনের প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রভাব রোধে। তবে, কেমিশ সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের আগ্রহ নাও থাকতে পারে।” বিশ্লেষকরা মনে করেন, স্বাধীন বোগেনভিল আমেরিকা বা চীনের সামরিক ঘাঁটির জন্য আদর্শ হতে পারে, তবে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এর বড় চ্যালেঞ্জ।