দলিত কিশোরীর গণধর্ষণ ও নৃশংসতা: তদন্তে চাঞ্চল্য

উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরে ১৪ বছরের এক দলিত কিশোরীর গণধর্ষণ, নির্যাতন ও ধর্মান্তরের চাপের ঘটনা রাজ্যকে স্তম্ভিত করেছে। মোরাদাবাদের ভগতপুর থানা এলাকায় ২ জানুয়ারি অপহৃত এই কিশোরীকে অজ্ঞান করে গণধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্তরা তার হাতে লেখা ‘ওম’ অ্যাসিডে পুড়িয়ে মুছে দেয়, গরুর মাংস খাওয়ায় এবং ‘শিজারে তাইয়বা’ বই দিয়ে ইসলাম গ্রহণের জন্য চাপ দেয়। ভুক্তভোগীর জবানবন্দিতে ‘ঝিনগুর বাবা’ নামে এক মাওলানার ভূমিকার উল্লেখ রয়েছে, যিনি সম্ভবত চাঙ্গুর পীর হতে পারেন।
পুলিশ রশিদ, জুবায়ের, আরিফ ও সালমান নামে চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। বজরং দলের প্রতিবাদের পর মার্চে মামলা নথিভুক্ত হয়। তবে, প্রাথমিক উদাসীনতার জন্য স্থানীয় থানার ইনচার্জকে লাইন ডিউটিতে পাঠানো হয়েছে এবং দুই সাব-ইন্সপেক্টর বরখাস্ত হয়েছেন। মন্ত্রী অসীম অরুণের কঠোর শাস্তির নির্দেশ সত্ত্বেও তদন্তে শৈথিল্যের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর খালা বলেন, “পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে অস্বীকার করেছিল। আমরা ন্যায় চাই।”
এই ঘটনা ধর্মীয় সংবেদনশীলতা, দলিত নিপীড়ন ও প্রশাসনিক ত্রুটির প্রশ্ন তুলেছে। বজরং দল ও দলিত সংগঠনগুলো ‘ঝিনগুর বাবা’র গ্রেপ্তারি দাবি করছে। তদন্তে চাঙ্গুর পীরের সম্পত্তি ও অপরাধ নেটওয়ার্কের নতুন তথ্য প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।