মাঝ আকাশে পারমাণবিক বিস্ফোরণ: বিশ্বের জন্য মারাত্মক হুমকি

দুটি দেশের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রের সংঘাত বিশ্বের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। বিশেষ করে, মাঝ আকাশে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরিত হলে এর পরিণতি হবে অকল্পনীয়। হিরোশিমা-নাগাসাকির ধ্বংসলীলার স্মৃতি এখনও তাজা, আর বর্তমান পারমাণবিক অস্ত্র তার চেয়েও শক্তিশালী। বিশ্বের মাত্র নয়টি দেশ—রাশিয়া, আমেরিকা, চীন, ভারত, পাকিস্তান, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, উত্তর কোরিয়া ও ইসরায়েল—এই অস্ত্রের অধিকারী। ইরানের পারমাণবিক উচ্চাভিলাষও বিশ্বে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
মাঝ আকাশে পারমাণবিক বিস্ফোরণ তড়িৎ চৌম্বকীয় পালস (ইএমপি) সৃষ্টি করতে পারে, যা বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস করবে। ফলে, আক্রান্ত অঞ্চল সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তেজস্ক্রিয় কণা বাতাসে ছড়িয়ে কয়েক কিলোমিটার দূরে প্রভাব ফেলবে, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ড. রাহুল শর্মা বলেন, “ইএমপি আধুনিক সভ্যতার মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে পারে।”
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পারমাণবিক হুমকির উল্লেখ এবং উত্তর কোরিয়ার হুঁশিয়ারি বিশ্বকে উদ্বিগ্ন করেছে। এমন পরিস্থিতিতে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও কূটনৈতিক সমাধান জরুরি। বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, এই অস্ত্রের ব্যবহার শুধু যুদ্ধক্ষেত্র নয়, পুরো বিশ্বের জন্য অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হবে।