ফ্রান্সের সোনার রহস্য: খনি ছাড়াই চতুর্থ বৃহত্তম রিজার্ভ

ফ্রান্সে একটিও সোনার খনি নেই, তবু ২,৪৩৭ টন সোনার মজুদ নিয়ে এটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম সোনার রিজার্ভ ধারণকারী দেশ। আমেরিকা, জার্মানি ও ইতালির পরেই ফ্রান্সের অবস্থান। ঔপনিবেশিক আমলে আলজেরিয়া, মালি, সেনেগালসহ আফ্রিকার দেশগুলো থেকে প্রচুর সোনা সংগ্রহ এবং স্বাধীনতার পরও অর্থনৈতিক চুক্তির মাধ্যমে এই মজুদ অটুট রেখেছে ফ্রান্স। “ঐতিহাসিক কৌশল ফ্রান্সকে এই অবস্থান দিয়েছে,” বলেন অর্থনীতিবিদ মারিয়া লুক।
ঔপনিবেশিক সময়ে ফরাসি প্রশাসন আফ্রিকার সম্পদ আহরণ করে, যার মধ্যে সোনা ছিল প্রধান। স্বাধীনতার পরও এই দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফ্রান্সে রিজার্ভ রাখতে বাধ্য ছিল, যা মজুদ বাড়িয়েছে। ২০২৩ সালে চীন ৩৭৮.২ টন ও রাশিয়া ৩২১.৮ টন সোনা উৎপাদন করলেও ফ্রান্সের মজুদ ঐতিহাসিক সম্পর্কের ফল। বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সোনার দাম বৃদ্ধি (দেশীয় বাজারে ১০ গ্রামে ১ লক্ষ টাকা) কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর রিজার্ভ বাড়ানোর প্রবণতাকে ত্বরান্বিত করছে। তবে, ফ্রান্সের মতো খনিবিহীন দেশের এই অবস্থান বিরল।
ফ্রান্সের এই মজুদ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক প্রভাব বজায় রাখে। তবে, আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে এই চুক্তি নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে। ফ্রান্সের এই অনন্য অবস্থান ইতিহাস ও কৌশলের এক অসাধারণ নজির।