মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে এই সপ্তাহে শান্তি চুক্তির আশা প্রকাশ করেছেন। রবিবার ট্রুথ সোশ্যালে তিনি বলেন, “আশা করি রাশিয়া ও ইউক্রেন এই সপ্তাহে চুক্তিতে পৌঁছাবে। এরপর উভয় দেশ আমেরিকার সাথে বড় বাণিজ্য শুরু করে সমৃদ্ধি ও অর্থ উপার্জন করবে।” এই বক্তব্য ২০২২ থেকে চলা সংঘাতের মধ্যে কূটনৈতিক অগ্রগতির সম্ভাবনা তুলে ধরে।

তবে, বিশ্লেষকরা সতর্কতার সুরে বলছেন, রাশিয়ার কঠোর অবস্থান এবং ইউক্রেনের নিরাপত্তা দাবি আলোচনায় জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসন সৌদি আরবে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালিয়েছে, কিন্তু ফলাফল এখনও অনিশ্চিত। “এক সপ্তাহের মধ্যে চুক্তি অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী, তবে ট্রাম্পের চাপ কিছু গতি আনতে পারে,” বলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. সোফিয়া রেখতমান। শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে, এটি ইউরোপের ভূ-রাজনীতি পুনর্গঠনের পাশাপাশি মার্কিন বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।

এই আশাবাদের মধ্যেও সংশয় রয়েছে, কারণ পূর্ববর্তী আলোচনাগুলো ব্যর্থ হয়েছে। তবু, ট্রাম্পের সক্রিয় ভূমিকা এবং অর্থনৈতিক প্রণোদনার প্রতিশ্রুতি আলোচনার টেবিলে নতুন গতিশীলতা যোগ করতে পারে।