মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার আট-দফা ‘শুল্ক-বহির্ভূত প্রতারণা’ তালিকা জারি করে দেশগুলোকে অশুল্ক-সংক্রান্ত অপরাধের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন, যা মার্কিন সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ৯০ দিনের শুল্ক স্থগিতাদেশ ঘোষণার পর এই পদক্ষেপ এসেছে, যা চীন ব্যতীত সব দেশের জন্য প্রযোজ্য। তালিকায় মুদ্রা কারসাজি, ভ্যাট অপব্যবহার, ডাম্পিং, ভর্তুকি, প্রতিরক্ষামূলক মান, জালিয়াতি, আইপি চুরি ও ট্রান্সশিপিংয়ের মতো ইস্যু অন্তর্ভুক্ত।

ট্রাম্প জাপানের ‘বোলিং বল পরীক্ষা’ উল্লেখ করে বলেন, “তারা গাড়ির হুডে ২০ ফুট উপর থেকে বোলিং বল ফেলে। ফাঁপা পড়লে গাড়ি অযোগ্য। এটা ভয়াবহ।” তিনি চীনের উপর শুল্ক ১৪৫%-এ উন্নীত করেছেন, বেইজিংয়ের ১২৫% প্রতিশোধমূলক শুল্কের জবাবে। তবে তিনি আশাবাদী, “চীন চুক্তি চায়, শি জিনপিং গর্বিত, কিন্তু তারা পথ খুঁজে পাবে।” বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই সতর্কতা বাণিজ্য আলোচনায় চাপ সৃষ্টির কৌশল।

বন্ড বাজারের অস্থিরতা ট্রাম্পকে শুল্ক স্থগিত করতে প্রভাবিত করেছে। তিনি বলেন, “বন্ড বাজার জটিল, কিন্তু সুন্দর। আমরা এটি হৃদয় থেকে লিখেছি।” এই পদক্ষেপ বিশ্ব বাজারে অস্থিরতা কমালেও, চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধ তীব্র রয়েছে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে।