ধনখড়ের সুপ্রিম কোর্ট সমালোচনা: প্রস্তাবনার ব্যাখ্যায় অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন

উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় সুপ্রিম কোর্টের সংবিধানের প্রস্তাবনার ব্যাখ্যায় অসঙ্গতির সমালোচনা করে বলেছেন, “এক মামলায় প্রস্তাবনা সংবিধানের অংশ নয় (গোলকনাথ), অন্য মামলায় তা অংশ (কেশবানন্দ ভারতী)।” দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কর্তব্যম’ অনুষ্ঠানে তিনি জোর দিয়ে বলেন, সংসদই সর্বোচ্চ, এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। “নাগরিকই সর্বোচ্চ, সাংবিধানিক পদগুলি আনুষ্ঠানিক হতে পারে,” যোগ করেন তিনি।
ধনখড় ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থাকে ‘গণতন্ত্রের কালো দিন’ আখ্যা দিয়ে বলেন, সুপ্রিম কোর্ট তখন নয়টি হাইকোর্টের পরামর্শ উপেক্ষা করেছিল। গোলকনাথ মামলায় সংসদের মৌলিক অধিকার সংশোধনের ক্ষমতা সীমিত করা হয়, যেখানে কেশবানন্দ ভারতী মামলায় সংবিধানের মৌলিক কাঠামো অক্ষুণ্ণ রাখার শর্তে সংশোধনের অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি গণতন্ত্রের জন্য সংলাপের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “মতপ্রকাশের অধিকার ছাড়া গণতন্ত্র শেষ।” বিশ্লেষকদের মতে, ধনখড়ের বক্তব্য বিচার বিভাগ ও আইনসভার মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে বিতর্ক উসকে দিতে পারে।
সংবিধানের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে ধনখড় জাতীয়তাবাদ ও মৌলিক কর্তব্যের উপর জোর দেন, যা ৪২তম সংশোধনীর মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমাদের সংবিধান হাজার বছরের সভ্যতার প্রতিফলন।” এই বক্তব্য সাংবিধানিক বিতর্ককে নতুন মাত্রা দিয়েছে।