‘গ্লুমি সানডে’: মৃত্যুর গান যা ১০০ জীবন কেড়ে নিয়ে নিষিদ্ধ হয়

১৯৩৩ সালে হাঙ্গেরিয়ান সুরকার রেজসো সেরেসের লেখা ‘গ্লুমি সানডে’ গানটি বিশ্বে ‘হাঙ্গেরিয়ান সুইসাইড সং’ নামে কুখ্যাতি লাভ করে। প্রেমিকার বিচ্ছেদে হতাশায় লেখা এই গানের কথা এতটাই বিষণ্ণ যে, শ্রোতারা আত্মহত্যার প্রবণতায় মরিয়া হয়ে উঠত। জি নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৩৫ সালে প্রকাশের পর হাঙ্গেরিতে আত্মহত্যার হার বেড়ে যায়। অনেক মৃতদেহের কাছে এই গান বাজতে শোনা যায়।
প্রাথমিকভাবে ১৭ জন এবং পরে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যুর সঙ্গে গানটির যোগসূত্র পাওয়া যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ১৯৪১ সালে হাঙ্গেরি সরকার গানটি নিষিদ্ধ করে। ৬২ বছর পর ২০০৩ সালে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। আশ্চর্যজনকভাবে, সেরেস নিজেও গানে উল্লিখিত রবিবারে আত্মহত্যা করেন। মনোবিজ্ঞানী ড. এলিজা কোভাক্স বলেন, “গানের বিষণ্ণ সুর ও কথা মানসিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।”
এই গান ২৮টি ভাষায় ১০০ জনের বেশি শিল্পী গেয়েছেন, তবে এর মর্মান্তিক ইতিহাস এটিকে সিনেমা ও সঙ্গীত জগতে এক অনন্য কিন্তু ভয়াবহ স্থান দিয়েছে। এটি সতর্ক করে যে শিল্পের প্রভাব মানুষের মনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে।