পহেলগাম হামলায় ৭ সন্ত্রাসী নিহত, সরকারি পদক্ষেপে জল্পনা

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার পর নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, হামলায় জড়িত সাতজন সন্ত্রাসীর মধ্যে দুজন স্থানীয় ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যে নিশ্চিত হয়েছে, এত বড় হত্যাকাণ্ডে ২-৩ জনের বেশি সন্ত্রাসী জড়িত ছিল। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “এই কাপুরুষোচিত হামলার পেছনের মূলচক্রীদের ধরা হবে।” এই ঘটনায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই পর্যটক।
কাশ্মীরি পণ্ডিত সরকারি কর্মীদের, যারা প্রধানমন্ত্রী প্যাকেজে কাজ করছেন, তাদের ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপ সন্ত্রাসী প্রতিশোধের আশঙ্কা থেকে নেওয়া হয়েছে। রাজনাথ সিংয়ের ২৫-২৬ এপ্রিলের লাদাখ সফর বাতিল এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সৌদি সফর সংক্ষিপ্তকরণ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে।
নিরাপত্তা বাহিনী পহেলগামে অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন করেছে, এবং দক্ষিণ কাশ্মীরে ২৫০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই হামলা কাশ্মীরের পর্যটন ও শান্তি প্রক্রিয়ায় বড় ধাক্কা। “এটি স্থানীয় অসন্তোষ ও বহিরাগত উস্কানির মিশ্রণ,” বলেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অজয় সাহনি।