পহেলগামে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে উত্তেজনা তুঙ্গে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, হামলায় ৫ নয়, ৭ সন্ত্রাসী জড়িত ছিল, যাদের মধ্যে দুজন স্থানীয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যে বলা হয়েছে, “একটি বড় দল এলোপাথাড়ি গুলি চালায়।” এই হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত ও ১৭ জন আহত হন। কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স গোষ্ঠী দায় স্বীকার করলেও, তদন্তে টিআরএফ-এর সম্পৃক্ততার আশঙ্কা উঠেছে।

কেন্দ্রীয় সরকার কঠোর পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্যাকেজে নিয়োগপ্রাপ্ত কাশ্মীরি পণ্ডিত কর্মচারীদের ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ি থেকে কাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে সন্ত্রাসী প্রতিশোধের। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের ২৫-২৬ এপ্রিলের লাদাখ সফর বাতিল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র শ্রীনগর সফর পরিস্থিতির গুরুত্ব তুলে ধরছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, ভারত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বড় অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা আগামী তিন দিনে নতুন মোড় নিতে পারে।

এদিকে, হামলার প্রভাবে কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পে ধাক্কা লেগেছে। পর্যটকরা ভয়ে বুকিং বাতিল করছেন। সরকার নিরাপত্তা জোরদার করলেও, স্থানীয়রা ও পর্যটকরা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।