পহেলগাম হামলার পর ভারত-পাকিস্তানে উত্তেজনা, যুদ্ধের ছায়া

জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি ইসলামাবাদকে দায়ী করে বলেন, “সীমান্ত সন্ত্রাসবাদ নির্মূল না হলে কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।” ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত, আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ, পাকিস্তানি ভিসা বাতিল ও হাইকমিশনের সামরিক উপদেষ্টাদের বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে।
১৯৯৩ সালের গোপন সিআইএ নথি, সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা সংরক্ষণাগার থেকে প্রকাশিত, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সম্ভাবনা ২০% হলেও পাকিস্তানের জন্য বিপর্যয়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল। নথিতে বলা হয়, “পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ধ্বংস করতে পারে, এমনকি রাষ্ট্রের পতন ঘটাতে পারে।” পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্রকে প্রতিরোধক হিসেবে দেখলেও, ভারতের সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব ইসলামাবাদকে চাপে রাখবে। নথি সতর্ক করে, “সন্ত্রাসী হামলা পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে বদলাতে পারে।”
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ভারতের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ যুদ্ধ এড়াতে কৌশলগত চাপ সৃষ্টি করছে। তবে, পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের সংঘাতের আশঙ্কা বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া এখনো অস্পষ্ট, তবে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনা সহজে কমে না।