ভারতের কঠোর অবস্থান, চার লক্ষণে বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত

জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে উত্তেজনা তুঙ্গে। গত ২৪ ঘন্টায় চারটি বড় পদক্ষেপ ভারতের কঠোর প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ২০১৬ ও ২০১৯-এর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো, ভারত সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে অভিযান শুরু করতে পারে।
প্রথমত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কাশ্মীরে পৌঁছে এলজি মনোজ সিনহা ও সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। শাহ বলেন, “সন্ত্রাসীদের কাউকে ছাড়া হবে না।” দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সৌদি সফর বাতিল করে পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে দিল্লি ফিরেছেন, যা পাকিস্তানের প্রতি স্পষ্ট সতর্কবার্তা। তৃতীয়ত, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে সম্ভাব্য অভিযানের প্রস্তুতি নিশ্চিত করেছেন। চতুর্থত, পাকিস্তানে আতঙ্ক ছড়িয়েছে; তাদের বিমানবাহিনী সীমান্তে সক্রিয়। পাক প্রাক্তন মন্ত্রী ফাওয়াদ হুসেন বলেন, “ভারত আক্রমণ করলে সব দল একসঙ্গে প্রতিরোধ করবে।”
নিরাপত্তা বিশ্লেষক সঞ্জয় কাপুর বলেন, “এই পদক্ষেপগুলো সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বা বৃহত্তর অভিযানের প্রস্তুতি নির্দেশ করে।” ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত ও পাক কূটনীতিকদের তলব করে চাপ বাড়িয়েছে। সীমান্তে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার হওয়ায় বড় সিদ্ধান্তের সম্ভাবনা তীব্র।