পহেলগাম হামলার পর ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানি ভিসা বাতিল ও হাইকমিশনের কর্মী সংখ্যা হ্রাসের মতো কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। জবাবে পাকিস্তান সিমলা চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়েছে। ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত এই চুক্তি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইন্দিরা গান্ধী ও জুলফিকার আলী ভুট্টোর মধ্যে হওয়া এই চুক্তিতে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) স্বীকৃতি, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি ও শান্তি বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ভারত ৯০ হাজার পাকিস্তানি বন্দী মুক্তি দিয়েছিল।

পাকিস্তানের হুমকি প্রসঙ্গে ভারত স্পষ্ট করেছে, কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক ইস্যু এবং সিমলা চুক্তিই এর ভিত্তি। “পাকিস্তানের এই হুমকি কেবল রাজনৈতিক চাল, যা তাদের শান্তি প্রত্যাখ্যানের মনোভাব প্রকাশ করে,” বলেন কূটনৈতিক বিশ্লেষক রিনা চৌধুরী। চুক্তি বাতিল হলে পাকিস্তান আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হতে পারে। পহেলগামে ২৬ জনের হত্যার পর ভারতের কঠোর অবস্থান পাকিস্তানকে কোণঠাসা করেছে।

এই হুমকি দুই দেশের সম্পর্ককে আরও তিক্ত করবে। ভারতের দৃঢ় কূটনৈতিক পদক্ষেপ ও পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া আঞ্চলিক শান্তির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।