ইসলামাবাদ, ২৪ এপ্রিল: পাহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত পাকিস্তানে তীব্র প্রতিক্রিয়া ফেলেছে। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি ঘোষণা করেন, “পাকিস্তান সীমান্ত সন্ত্রাসবাদ বন্ধ না করলে স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।” পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইসহাক দার সামা টিভিকে বলেন, “একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়। বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় চুক্তি বাধ্যতামূলক। ভারতের কাছে আইনি উত্তর নেই।”

পাকিস্তানের প্রাক্তন হাইকমিশনার আব্দুল বাসিত ডন নিউজকে বলেন, “ভারতের জল বন্ধের পরিকাঠামো নেই। তবে পাকিস্তানকে বিশ্বব্যাংকের কাছে আবেদন করতে হবে।” তিনি যোগ করেন, “১৩৩ মিলিয়ন একর ফুট জলের সরবরাহে তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়বে না।” বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তোলেন, ভারত কীভাবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে? দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিরক্ষা সম্পাদক লিখেছেন, “ভারত বিমান হামলা বা বিশেষ অভিযানের মতো পদক্ষেপ নিতে পারে।”

বিশ্লেষকদের মতে, চুক্তি স্থগিত পাকিস্তানের কৃষি ও অর্থনীতির জন্য দীর্ঘমেয়াদী হুমকি। তবে, ভারতের অবকাঠামো সীমাবদ্ধতা তাৎক্ষণিক জল বন্ধের সম্ভাবনা কমায়। পাকিস্তান কূটনৈতিকভাবে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন চাইবে। এই সংকট দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।