জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৮ জন প্রাণ হারিয়েছে, যা গোটা দেশকে হতবাক করেছে। এই কাপুরুষোচিত ঘটনার পর ভারত বিশ্বব্যাপী সমর্থন পাচ্ছে, যার কারণে পাকিস্তানের কূটনৈতিক ঝামেলা ক্রমশ বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে। ফ্রান্স, জাপান, ইতালি এবং আমেরিকার মতো দেশগুলি কেবল এই হামলার নিন্দাই করেনি, বরং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। বিরোধী দলগুলিও সরকারকে প্রতিটি পদক্ষেপে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।

বিশ্বনেতারা ঐক্যবদ্ধ হন
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লিখেছেন, “পহেলগাম হামলার বিষয়ে আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে কথা বলেছি। এই শোকের মুহূর্তে ফ্রান্স ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।” জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবাও ফোনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে কথা বলেছেন এবং সমবেদনা প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, “সন্ত্রাসবাদ কোনওভাবেই সহ্য করা যাবে না।” ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিও মেলোনি এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রার্থনা করেছেন এবং ভারতকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানায়।”

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের দৃঢ় সংকল্প
প্রধানমন্ত্রী মোদী বিশ্ব নেতাদের সাথে তার আলাপচারিতায় সীমান্ত-পৃষ্ঠপোষকতামূলক সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন এবং এটিকে চূড়ান্তভাবে দমন করার তার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ অনিতা রাই বলেন, “বিশ্বব্যাপী সমর্থন ভারতের কূটনৈতিক শক্তির পরিচয় দেয়। এটি পাকিস্তানের প্রতি একটি স্পষ্ট বার্তা যে তারা এখন বিচ্ছিন্ন হতে পারে।” পহেলগাম হামলার পর ভারতের প্রতিশোধ এবং বিশ্বব্যাপী সংহতি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও জোরদার করেছে।