পহেলগামে ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনের বাইরে তীব্র বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিজেপি’র দিল্লি ইউনিট ও সন্ত্রাসবিরোধী অ্যাকশন ফোরামের ব্যানারে শতাধিক বিক্ষোভকারী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার দাবি জানান। দিল্লি বিজেপি সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব বলেন, “পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসীদের তাদের ভাষায় জবাব দেওয়া হবে। প্রতিটি ভারতীয় ক্ষুব্ধ।” বিক্ষোভকারীরা নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

কড়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও বিজেপি কর্মীরা পুলিশ ব্যারিকেড ভাঙলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। পুলিশ সচদেব-সহ শতাধিক কর্মীকে আটক করে, পরে মুক্তি দেয়। শুক্রবার দিল্লি বন্ধের ডাক দিয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠন। চেম্বার অফ ট্রেডের চেয়ারম্যান ব্রিজেশ গোয়েল বলেন, “ব্যবসায়ী সম্প্রদায় শোকাহত। ১০০টির বেশি বাজার বন্ধ থাকবে।” কনট প্লেসে ব্যবসায়ীরা কালো ব্যান্ড পরে মোমবাতি মিছিল করেন। যন্তর মন্তরে ডাক্তার ও ছাত্ররাও শান্তিপূর্ণ মিছিলে শোক প্রকাশ করেন।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই বিক্ষোভ ভারতের কঠোর অবস্থানের জনসমর্থন প্রতিফলিত করে, তবে এটি পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে। সরকারের সাতটি পদক্ষেপের পর জনরোষ অঞ্চলের শান্তি প্রক্রিয়াকে জটিল করতে পারে।