এলটিভি ভিসা: পহেলগাম হামলার পর পাকিস্তানি হিন্দুদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ভিসা একটি নিরাপত্তা ঢাল হয়ে উঠেছে

নতুন দিল্লি: ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা, যাতে ২৬ জন নিহত হন, ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের উপর চাপ সৃষ্টি করে। হামলার পর, ভারত ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশ ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী ভিসা (LTV) ধারণকারী হিন্দুদের এই নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই ভিসা পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুদের জন্য একটি সুরক্ষামূলক ঢাল হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে, ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু নদ চুক্তি থেকে সাময়িকভাবে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যতক্ষণ না পাকিস্তান সীমান্ত সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করে।
এলটিভি ভিসার বৈশিষ্ট্য
এলটিভি ভিসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের মতো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য যারা পাকিস্তান, বাংলাদেশ বা আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসেন। এটি ভারতীয় পুরুষদের সাথে বিবাহিত মহিলাদের অথবা ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিধবা/তালাকপ্রাপ্ত মহিলাদের জন্যও প্রযোজ্য যারা এই দেশগুলির নাগরিক। সাধারণত পাঁচ বছরের জন্য দেওয়া হয় এই ভিসা, বিশেষ পরিস্থিতিতে এক বছরের জন্যও দেওয়া যেতে পারে। “এলটিভিধারীদের ভারতে নিরাপদ থাকার অধিকার আছে; এটি মানবিক কারণে তাদের সাহায্য করে,” স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন।
সরকারের কঠোর অবস্থান
পহেলগাম হামলার পর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করেন এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের অবিলম্বে দেশ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তবে, এলটিভিধারীদের ত্রাণ দেওয়া হয়েছিল, যারা বেশিরভাগই হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু যারা নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসছেন। “আমাদের সিদ্ধান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে, ভারতে আশ্রয় নেওয়া নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে নয়,” বলেছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
এগিয়ে যাওয়ার পথ
পহেলগাম হামলা ভারতকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করেছে। মানবিক সংকটে এলটিভি ভিসা সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেয়, কিন্তু সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর অবস্থান পাকিস্তানের প্রতি একটি স্পষ্ট বার্তা।