মধ্যপ্রদেশের শহডোল থেকে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে রাধা কোল নামে এক মহিলা তার স্বামী সুরেশ বৈগার গলা টিপে হত্যা করেছেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ও প্রতিবেশীদের বিভ্রান্ত করে তিনি দাবি করেছিলেন, অতিরিক্ত মদ্যপানে সুরেশের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পুলিশের তদন্তে হত্যার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। রাধা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় তার রিলে পুরুষদের লাইক করা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হতো, যা এই হত্যার কারণ। এই দম্পতির এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল, এবং ফেসবুকে তাদের পরিচয় হয়েছিল।

ঘটনাটি ঘটে ২১ এপ্রিল রাতে। রাধা পুলিশকে জানান, সুরেশ মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে তাকে ও তার পাঁচ বছরের মেয়েকে মারধর করেন। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি সুরেশের গলা টিপে ধরেন, এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনা গোপন করতে রাধা প্রতিবেশীদের বলেন, “সুরেশ মাত্রাতিরিক্ত মদ খেয়ে খায়নি, উঠছে না।” তবে, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরেশের গলায় নখের দাগ দেখে সন্দেহ করে। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে হত্যার প্রমাণ মেলে, এবং কঠোর জিজ্ঞাসাবাদে রাধা অপরাধ স্বীকার করেন।

রাধার প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি মায়ের বাড়িতে ফিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হন। সেখানে সুরেশের সঙ্গে তার পরিচয়, প্রেম এবং পরে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর সুরেশ তার রিলে পুরুষদের লাইক নিয়ে সন্দেহ করতেন এবং মারধর করতেন। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা রাজেশ শর্মা বলেন, “এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহার এবং পারিবারিক কলহের দুঃখজনক পরিণতি।” রাধাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এবং তদন্ত চলছে। এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব ও পারিবারিক সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।