পহেলগাম হামলার পর সুরাটে অবৈধ বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার অভিযান

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতে অবৈধ অপ্রবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গত ২২ এপ্রিল বৈসরান উপত্যকায় এই হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যার মধ্যে দুজন বিদেশি এবং একজন স্থানীয় নাগরিক ছিলেন। এই ঘটনার পর গুজরাটের সুরাটে বড় ধরনের অভিযান চালিয়ে শতাধিক বাংলাদেশি অবৈধ অপ্রবাসীকে আটক করেছে পুলিশ। ক্রাইম ব্রাঞ্চের জয়েন্ট সিপি শরদ সিঙ্ঘল বলেন, “গৃহমন্ত্রী, সিপি এবং ডিজিপি’র নির্দেশে আমরা অবৈধ অপ্রবাসীদের ধরতে তৎপর।” এপ্রিল ২০২৪ থেকে এখন পর্যন্ত ১২৭ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭৭ জনকে নির্বাসিত করা হয়েছে।
সুরাটের উধনা, কতারগাম, মহিধরপুরা, পান্ডেসরা, সালাবতপুর এবং লিম্বায়েত এলাকায় অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের ধরতে ক্রাইম ব্রাঞ্চ, এসওজি, ইওডব্লিউ এবং জোন ৬-এর দলগুলো যৌথ অভিযান চালায়। ডিসিপি রাজদীপ সিং নাকুম জানান, “রাতভর অভিযানে ১০০-র বেশি বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে, যারা জাল নথি নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সুরাটে বসবাস করছিল।” এই অপ্রবাসীরা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। পুলিশ এখন তাদের নথি যাচাই করছে, এবং আটকদের বাংলাদেশে নির্বাসনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। মোট ৪৫৭ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, যা অবৈধ অপ্রবাসীদের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়।
পহেলগাম হামলার জন্য পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা দ্য রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্ট দায় স্বীকার করেছে। এই ঘটনা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়িয়েছে এবং অবৈধ অপ্রবাসীদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযান তীব্র হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ প্যাটেল বলেন, “নিরাপত্তার স্বার্থে এই অভিযান জরুরি, তবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও বিষয়টি দেখা উচিত।” বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই অভিযান অবৈধ অপ্রবাসন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে, তবে এর কূটনৈতিক প্রভাব বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কেও পড়তে পারে।