জাপানের রেলগান, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রকে টেক্কা দেওয়া নতুন অস্ত্র

জাপানের নৌবাহিনী সম্প্রতি জেএস আসুকা জাহাজে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেলগানের সমুদ্র পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে, যা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কৌশলগত ভারসাম্যে নতুন মাত্রা যোগ করছে। এই অস্ত্র, যা তড়িৎ চৌম্বকীয় শক্তি ব্যবহার করে ২,৫০০ মি/সেকেন্ড গতিতে ৩২০ গ্রামের প্রজেক্টাইল নিক্ষেপ করতে পারে, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও উচ্চগতির যুদ্ধবিমানের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর। ২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ টন ওজনের এই রেলগান জাপানের প্রতিরক্ষা নীতিতে আক্রমণাত্মক প্রযুক্তির প্রবর্তন ঘটিয়েছে।

চীন ও উত্তর কোরিয়ার জন্য এটি উদ্বেগের কারণ, কারণ এর গতি ও নির্ভুলতা ঐতিহ্যবাহী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ছাড়িয়ে যায়। একজন প্রাক্তন চীনা সেনা প্রশিক্ষক বলেন, “এটি জাপানের আক্রমণাত্মক কৌশলের সূচনা, যা এশিয়ায় উত্তেজনা বাড়াতে পারে।” জাপান ২০১৬ সালে এই প্রযুক্তির উপর কাজ শুরু করে, যেখানে আমেরিকা ২০২১ সালে এটি ত্যাগ করে এবং চীন এখনও সফল হয়নি। ফলে, জাপানের এই অগ্রগতি বিশ্বব্যাপী সামরিক প্রযুক্তির প্রতিযোগিতায় তাদের শীর্ষস্থানে নিয়ে যাচ্ছে।

এই সাফল্য শুধু জ-apani প্রতিরক্ষা ক্ষমতাই বাড়ায়নি, বরং আঞ্চলিক নিরাপত্তার গতিপ্রকৃতিতে নতুন প্রশ্ন তুলেছে। রেলগানের ভবিষ্যৎ ব্যবহার এশিয়ার কৌশলগত সমীকরণে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করেছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *