পহেলগাম হামলার পর ভারতে পাকিস্তানিদের দ্রুত নির্বাসন

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে একটি নির্দেশে সব পাকিস্তানি নাগরিককে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে। ফলে অটারি-ওয়াঘা সীমান্তে পাকিস্তানিদের ভিড় বেড়েছে। ২৭ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা বাতিলের সময়সীমা শেষ হওয়ায় নির্বাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২০০-এর বেশি পাকিস্তানি দেশ ছেড়েছেন। একজন ফিরে যাওয়া নাগরিক মোহাম্মদ জামিল বলেন, “রক্তপাত যারই হোক, তা অন্যায়। আমরা দ্রুত ফিরছি।”
অটারি সীমান্তে চিকিৎসার জন্য আসা পাকিস্তানিদেরও মাঝপথে ফিরতে হচ্ছে। গত দুদিনে ২২৯ পাকিস্তানি ফিরেছেন, এবং ৩৯২ ভারতীয় পাকিস্তান থেকে ফিরেছেন। মহারাষ্ট্রে ৫৫ জন সার্ক বা শর্ট-টার্ম ভিসাধারীকে নির্বাসনের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নাগপুরে ২,৪০০ পাকিস্তানির মধ্যে ১,০০০ দীর্ঘমেয়াদী ভিসাধারী, বাকিরা সার্ক ভিসায়। জরিপটকা এলাকায় ১৮ জনকে নির্বাসনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। মহারাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা কেন্দ্রের নির্দেশ কঠোরভাবে পালন করছি।”
উত্তরাখণ্ডে ২৫০ পাকিস্তানির মধ্যে ২৪৭ জন দীর্ঘমেয়াদী ভিসাধারী, বেশিরভাগ হিন্দু। দেরাদুন থেকে দুজন শর্ট-টার্ম ভিসাধারীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পুলিশ মহানির্দেশক দীপম শেঠ বলেন, “আমরা সুনির্দিষ্টভাবে নির্বাসন পরিচালনা করছি।” এই পদক্ষেপ জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি ভারতের কঠোর অবস্থান প্রতিফলিত করে, তবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে চিকিৎসাধীন রোগীদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকে। হামলার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও জটিল হয়েছে।