পহেলগাম হামলার পর রেলওয়ের উচ্চ সতর্কতা, জিআরপিএফ-কে কঠোর নির্দেশ

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতীয় রেলওয়ে সম্ভাব্য হুমকির আশঙ্কায় উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। গোয়েন্দা তথ্যে ইঙ্গিত মিলেছে, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই শ্রীনগর ও গান্দেরবালে কাশ্মীরি পণ্ডিত, গোয়েন্দা পুলিশ এবং অ-স্থানীয়দের উপর লক্ষ্যবস্তু হামলার পরিকল্পনা করছে। রেলওয়ে অবকাঠামো, বিশেষত অ-স্থানীয় কর্মীদের বড় উপস্থিতির কারণে, সন্ত্রাসীদের সম্ভাব্য লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। রেলওয়ে জিআরপিএফ, আরপিএফ, আরপিএসএফ ও কর্মীদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এক কর্মকর্তা বলেন, “নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয় জরুরি।”
গোয়েন্দা রিপোর্টে উল্লেখ, ২১ এপ্রিল সন্ধ্যায় বান্দিপুরার সন্ত্রাসী হাশর পারে হামজা ও এক ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কারকে বারামুল্লার ক্রেরি গ্রাম থেকে পট্টন রেলওয়ে ট্র্যাকের দিকে অস্ত্রসহ যেতে দেখা গেছে। এছাড়া, উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ কাশ্মীরে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলি নিরাপত্তা বাহিনী ও অ-স্থানীয়দের উপর হামলার পরিকল্পনা করছে। রেলওয়ে কর্মীদের প্রায়ই ব্যারাক ছেড়ে স্থানীয় বাজারে যাওয়ার অভ্যাস তাদের ঝুঁকির মুখে ফেলছে। রেলওয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এই কার্যকলাপ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অমিত শর্মা বলেন, “রেলওয়ের এই পদক্ষেপ সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে সময়োপযোগী।”
পহেলগামে ২৬ জনের মৃত্যুর পর দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রেলওয়ে স্টেশন, সুরঙ্গ ও সেতুগুলিতে তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। আগ্রা ক্যান্টে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে যাত্রীদের চেকিং চলছে। মউ-এ জিআরপিএফ ও আরপিএফ যৌথভাবে স্টেশন ও ট্রেনে তল্লাশি চালাচ্ছে। এই পদক্ষেপগুলি জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার প্রতিফলিত করে, তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগও বাড়ছে। রেলওয়ে অবকাঠামো রক্ষায় সকলের সহযোগিতা অপরিহার্য বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।